শেষ আপডেট: 30th October 2024 19:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনজন। তাঁদেরকে জামিন দিল ওড়িশা হাইকোর্ট। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই দুর্ঘটনার তদন্ত করছিল সিবিআই। তাঁরাই এই তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল।
২০২৩ সালের জুন মাসে বালেশ্বরের কাছে বাহানাগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা ঘটে। একসঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল তিনটি ট্রেন। সেই ঘটনায় ২৯৬ জনের মৃত্যু এবং ১ হাজার ২০০ জন আহত হয়েছিলেন। বহু মৃতদেহ চিহ্নিত করাই সম্ভব হয়নি। যাত্রী নিরাপত্তার ইস্যুতে ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-এর কাছে গেলে তাঁরা মহম্মদ আমির খান, অরুণকুমার মোহন্ত এবং পাপ্পু যাদবকে গ্রেফতার করে। তাঁরাই এবার জামিন পেয়ে গেলেন।
ধৃতদের মধ্যে মহম্মদ আমির খান বালেশ্বরের কাছে সোরো স্টেশনে সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। পাপ্পু কর্মরত ছিলেন রেলের সিগন্যাল এবং টেলি যোগাযোগ বিভাগে এবং মোহন্ত বালেশ্বরে রেলের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার ইনচার্জ ছিলেন। ওড়িশা হাইকোর্টের বিচারপতি আদিত্য কুমার মহাপাত্রের বেঞ্চ তিনজনকে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিয়েও একাধিক শর্ত দিয়েছে।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সঙ্গে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়াগামী সুপারফাস্ট এবং একটি মালগাড়ি। সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছিল, বাহানাগা বাজার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ৯৪ নম্বর রেল গেটে মেরামতির কাজ করছিলেন অভিযুক্তরা। সেই কাজের সময়ই সিগন্যালিং ব্যবস্থার সার্কিট বদল করেছিলেন। তবে কাজ শেষ করার পর সিগন্যাল ঠিকমতো কাজ করছে কিনা না দেখেই ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেন। তাতেই ঘটে যায় এই মারাত্মক দুর্ঘটনা।