মেয়োনিজ
শেষ আপডেট: 24 April 2025 19:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কাঁচা ডিম দিয়ে তৈরি মেয়োনিজে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এর উৎপাদন ও বিক্রি দুটোই একবছরের জন্য বন্ধ করল তামিলনাড়ু সরকার। রাজ্যবাসীর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
আট থেকে আশি, মেয়োনিজের ভক্ত প্রায় সকলে। অনেকরকম মেয়োনিজ পাওয়া যায়। চট করে পাউরুটিতে বা কোনও খাবারের সঙ্গে লাগিয়ে খেয়ে ব্রেকফাস্ট বা সন্ধের স্ন্যাক্স সেরে নেওয়া হয়ে যায়। কিন্তু কীভাবে মেয়োনিজ বানানো হয়, তা অনেকেরই অজানা। আর সেই থেকেই হচ্ছে বিপত্তি।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে মেয়োনিজকে 'একটি অর্ধ-তরল (সেমি-সলিড) ইমালসন' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাতে ডিমের কুসুম, ভেজিটেবল অয়েল, ভিনিগার এবং অন্যান্য সিজনিং থাকে। তামিলনাড়ু সরকারের বক্তব্য, খাদ্য ব্যবসায়ীরা এই মেয়োনিজ যেভাবে তৈরি করে তাতে সমস্যা হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে মেযোনিজ যেভাবে রাখা হয় সংরক্ষণ করে, সেনিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। সালমোনেলা টাইফিমিউরিয়াম, সালমোনেলা এন্টারিটিডিস, ইশেরিকিয়া কোলাই এবং লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজেনেস জাতীয় জীবাণু পাওয়া গেছে মেয়োনিজ পরীক্ষায়। যাতে বমি, পেটের সমস্যা এবং জ্বরের মতো রোগ হতে পারে। আর তারপরই এই পদক্ষেপের পথে হাঁটে সেখানকার সরকার।
২০০৬ সালের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্টের ধারার ৩০(২)(ক)-এর অধীনে ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে নির্দেশটি। ওই ধারায় বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনার কোনও খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ বা বিক্রয় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করতে পারবেন।
আইন অনুযায়ী, সমস্ত খাদ্য ব্যবসায়ীকে নিশ্চিত করতে হবে, তাদের উপাদানসমূহ নিরাপদ। উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিক্রয় বা বিতরণের সময় কোনও অসম্পূর্ণ, ভুল লেবেলযুক্ত বা নিম্নমানের খাবার বিক্রি করা যাবে না এবং খাদ্যের মধ্যে কোনও বিদেশী পদার্থ থাকাও চলবে না। ব্যবসায়ীরা লাইসেন্সিং ও সরকারের স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলবেন। সঙ্গে যেকোনও আইন বা বিধি লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকবেন।
এই সূত্র ধরেই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সকলের নিরাপত্তা, ন্যায্য ও নিরাপদ বাণিজ্য নীতি বজায় রাখা এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য।'