শেষ আপডেট: 3rd January 2025 11:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আইনজীবীদের সিনিয়র উপাধি দেওয়া নিয়ে দায়ের করা একটি মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সেখানেই এক আইনজীবীর সওয়াল নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিচারপতি বি আর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ। আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে তোলা 'অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ' নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়।
আইনজীবীদের আবেদনে দাবি করা হয়, 'অ্যাডভোকেটস অ্যাক্টের ১৬ ও ২৩(৫) ধারা চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে, যা সিনিয়র এবং সাধারণ আইনজীবীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করেছে, যা সংসদীয় নয়।' এছাড়াও দিল্লি হাইকোর্টের সাম্প্রতিক সিনিয়র অ্যাডভোকেট উপাধি দেওয়ার প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই বিভাজন বিলোপের দাবি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিল্লি হাইকোর্ট সম্প্রতি প্রায় ৭০ জন আইনজীবীকে সিনিয়র উপাধি দিয়েছে। এর পরেই অভিযোগ উঠেছে বিভাজনের।
বৃহস্পতিবারের এই শুনানিতে আবেদনকারী আইনজীবীদের তরফে সওয়াল করেন অ্যাডভোকেট ম্যাথিউস জে নেডুমপারা। বেঞ্চ তাঁর উদ্দেশে সরাসরি প্রশ্ন তোলে, 'আপনি কতজন বিচারপতির নাম বলতে পারবেন যাঁদের সন্তানরা সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন?'
আইনজীবীদের আবেদনের একটি অংশে লেখা ছিল, 'কোনও বিচারপতি, সে বর্তমান হোন বা অবসরপ্রাপ্ত, তাঁর সন্তান, ভাই, বোন বা কোনও আত্মীয় আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন এবং ৪০ বছর পার করেও সিনিয়র না হয়ে সাধারণ আইনজীবী রয়ে গেছেন-- এমনটা খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব।'
অর্থাৎ, এক কথায়, বিচারপতিদের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ আনা হয়েছে ওই আবেদনে। এই বক্তব্যই বেঞ্চে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করে। আদালত পর্যবেক্ষণ করে মন্তব্য করে, 'আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আবেদনটিতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে।'
এখানেই শেষ নয়। শুনানির সময় অ্যাডভোকেট নেডুমপারা আরও কিছু তথ্য উপস্থাপনের প্রস্তাব দেন এবং দাবি করেন যে, আইনজীবীদের মধ্যে অনেকেই বিচারকদের ভয় পান। বিচারপতি গাভাই তৎক্ষণাৎ বলেন, 'মিস্টার নেডুমপারা, এটি একটি আদালত, কোনও ক্লাবঘর বা মুম্বইয়ের আজাদ ময়দান নয় যে এখানে বক্তব্য দেওয়া হবে। আইন আদালতে আইনি যুক্তি উপস্থাপন করুন, গ্যালারির উদ্দেশ্যে বক্তৃতা নয়।'
এই নিয়ে বিস্তর ঝামেলার পরে ওই আবেদন সংশোধন করতে বলেন বিচারপতিরা। তাঁরা বলেন, 'আপনারা যদি আবেদন সংশোধন না করেন, তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।'