শেষ আপডেট: 11 January 2024 11:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সময় হয়ে এল। অযোধ্যায় রামলালার মন্দিরের উদ্বোধন হবে আর কিছুদিনেই। তার আগে মন্দিরের অছি পরিষদ তথা শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, মন্দির তৈরিতে এখনও অবধি প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এত বিপুল খরচের ধাক্কা সামলানো হল কীভাবে? কারা দিলেন এত টাকা? গেরুয়া শিবিরের সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ জানিয়েছে গোটা দেশের প্রায় ৪ লক্ষ গ্রাম থেকে অনুদান তোলা হয়েছে। ১১ কোটি দেশবাসী অনুদান দিয়েছেন। অনুদান এসেছে বিদেশ থেকেও।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শাখা ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র অভিযান গোষ্ঠী’ গোটা দেশ থেকে অনুদান সংগ্রহ করেছে। সূত্রের খবর, কাশি এবং প্রয়াগরাজের ভিক্ষুকরাও রাম মন্দির নির্মাণে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা দান করেছেন৷ কিছু দিন আগে পর্যন্ত রাম মন্দির ট্রাস্ট মাসিক ১ কোটি টাকা করে অনুদান পেত৷ অনাবাসী ভারতীয়রাও এই ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অর্থ দান করেছেন৷ রাম মন্দির ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, অযোধ্যায় তাদের তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। সেখানেই অনুদান টাকা জমা করা হয়েছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি রাম মন্দিরে রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে৷ ২৪ জানুয়ারি মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷
শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র দ্বারা আয়োজিত শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দির নির্মাণ নিধি সমর্পন অভিযান ( অর্থ সংগ্রহ অভিযান ) শুরু হয়েছে ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। শ্রীরাম সেনার সভাপতি দেবেন্দ্রনাথ দাস বলেছেন, "কোনও একক ব্যক্তির অর্থে আমরা রামমন্দির নির্মাণ না করে, সমগ্র ভারতবাসীর অর্থ সাহায্য নিয়ে আমরা রামমন্দির নির্মাণ করব। যাতে রাম মন্দির নির্মাণ হবার পর যুগ যুগ ধরে মানুষ বলতে পারে প্রতিটা ইঁট ভারতবাসীর অর্থ সাহায্যে গাঁথা হয়েছে।”
তৎতালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নিজেই অনুদান হিসেবে পাঁচ লক্ষ ১০০ টাকা দেন, গুজরাতের ধর্মীয় গুরু মোরারি বাপু ১১ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন, গৌতম গম্ভীর দিয়েছেন ১ কোটি টাকা, ব্রিটেন, আমেরিকা, কানাডার প্রবাসী ভারতীয়দের থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকা অনুদান এসেছে। বাংলা থেকে অন্তত ৫০ কোটি টাকা অনুদান উঠেছে। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিষদের সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিং জানিয়েছেন, এই কর্মসূচিতে পরিষদ তো বটেই, সেই সঙ্গে সঙ্ঘ পরিবারের অন্যান্য সংগঠনের সদস্যরাও যোগ দেন। সাধুসন্তরাও সঙ্গে ছিলেন। গোটা বাংলা জুড়ে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন রামভক্তরা। যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল, তা পূর্ণ করে দিয়েছেন বাংলার মানুষ।
কন্যাকুমারীতে ‘বিবেকানন্দ শিলা স্মারক’ নির্মাণের জন্য ১৯৬৫ সালে ১ টাকা করে কুপন নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়েছিল পরিষদ। ১৯৮৯ সালে ‘রামশিলা পূজন’ কর্মসূচিতেও ১ টাকা ২৫ পয়সার কুপন নিয়ে অভিযান চালিয়েছিল তারা। পরিষদ জানাচ্ছে, এবার ১০ টাকার কুপনের মাধ্যমে নিধি সংগ্রহে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ১০০ এবং ১,০০০ টাকার কুপনও আছে। ২,০০০ টাকা পর্যন্ত নগদ নেওয়া হচ্ছে। এর উপর অর্থ দিতে গেলে তা অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র’ ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অনলাইনে জমা করতে হবে। বেশি অঙ্কের চেক এবং ড্রাফ্টও নেওয়া হচ্ছে।