শেষ আপডেট: 3 December 2023 13:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তীসগড়ে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস ভাল ফল করবে বলে আশা করেছিলেন রাহুল গান্ধীরা। শুধু তা নয়, তৃণমূল কংগ্রেসও তাকিয়ে ছিল ফলাফলের দিকে। জোড়াফুলও চাইছিল বিজেপি জবরদস্ত ধাক্কা খাক হিন্দিবলয়ে।
কিন্তু হিন্দিবলয়ে যেভাবে গেরুয়া ঝড় চলেছে তাতে দৃশ্যতই হতাশ তৃণমূল। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রবিবার দুপুরে বলেন, “এই ফলাফল আসলে কংগ্রেসের ব্যর্থতার কারণে হয়েছে। এটা বিজেপির জয় নয়”।
মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগড়ে কংগ্রেস জিততে পারে বলে এবার অনেক রাজনৈতিক পণ্ডিতও পূর্বানুমান করতে শুরু করেছিলেন। সেই কারণেই বিরোধী শিবির তথা ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে আশা তৈরি হয়েছিল। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমার, উদ্ধব ঠাকরেদের কাছে এটা পরিষ্কার, যেখানে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের মুখোমুখি লড়াই রয়েছে, সেখানে রাহুল গান্ধীদের ভাল ফল করতে হবে। নইলে লোকসভায় বিজেপির আসন কমানো যাবে না। রবিবারের ফলাফল সেই আশায় কিছুটা জল ঢেলেছে বইকি।
তৃণমূল মুখপাত্র এদিন বলেন, “৩টি রাজ্যে কংগ্রেসকে হারিয়ে বিজেপি সরকার গড়তে চলেছে। একটি রাজ্যে অন্য দল ক্ষমতায় ছিল। কংগ্রেস তাদের হারিয়ে জয়ের দিকে এগোচ্ছে। কংগ্রেসের যে দুর্বলতা এবং সাংগঠনিক ব্যর্থতার কথা তৃণমূল বারবার বলেছি, এটা হল কংগ্রেসের সেই সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং ব্যর্থতা।"
এই ফলাফল বাংলায় বিজেপিকেও অক্সিজেন জুগিয়েছে। ইতিমধ্যে শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেছেন, সোমবার বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে মিছিল করবে বিজেপি। বিধানসভার বাইরে লাড্ডু বিতরণ করা হবে। বাংলায় সাঁড়াশি আক্রমণ চলবে বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু।
এর জবাবে কুণাল এদিন বলেন, “বিজেপি ভাবছে এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ভোটে জিতবে। ওদের মনে রাখতে হবে কংগ্রেস আর তৃণমূল এক নয়। বাংলায় ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই হবে। তা ছাড়া ওদের এও বুঝতে হবে যে বাংলায় ওদের ভোট নেই। উনিশের লোকসভা ভোটের পরেও ওরা নানা নোংরা খেলা দিয়ে ভোটে জিততে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। এবারও পারবে না।”