শেষ আপডেট: 29th November 2024 13:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত কয়েক বছরের মতো এ বারও পারদ পতন শুরু হওয়ার সঙ্গেই ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে গিয়েছে দিল্লি। যত ঠান্ডা বাড়ছে, ততই পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বর্তমানে ওই শহরে বাতাসের গুণগত মান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) ছিল ৩৭০। শুক্রবার সকালে এই গুণমান আরও খারাপ হয়ে ৪৩২ হয়েছে। আগের তুলনায় কমেছে দৃশ্যমানতাও। বর্তমানে দেশের রাজধানীতে বিমান পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে একটি বাড়িতে ১৫,০০০ গাছ লাগানো হয়েছে।
দক্ষিণ দিল্লির সৈনিক ফার্ম এলাকায় রয়েছে পিটার সিং এবং নিনো কৌরের বাসভবন। সেই বাড়িতেই রয়েছে ১৫,০০০ গাছ। দূষণ কমানোর ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা পালন করছে পিটার সিংয়ের বাড়ি। আশ্চর্যজনকভাবে সেখানকার বাতাসের গুণগত মান অনেকটাই কমের দিকে। বাড়ির ভিতরে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই থাকে ১৫-এর নিচে।
এমন দূষিত একটি শহরে এই বাড়িটি বিরল। বাড়িটি পেইন্ট বা প্লাস্টার দিয়ে তৈরি না। এক বিশেষ পদ্ধতিতে গোটা বাড়িটিকে তৈরি করা হয়েছে। ইট সিমেন্টের পরিবর্তে চুন ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি বাড়িক দেওয়ালে আধুনিক রংও নেই। তার পরিবর্তে রয়েছে চুন দিয়ে রং করা হয়েছে। এমনকি ছাদ, একটি কংক্রিটের স্ল্যাবের পরিবর্তে, পাথরের টাইলস ব্যবহার করা হয়েছে। এর জন্য ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। গরম কালে যখন গোটা দিল্লি গরমে ঝলসে থাকে, তখন বাড়িটি ঠান্ডা থাকে।
শুধুই গাছ নয়, বাড়িটিতে বৃষ্টির জলও সংরক্ষণ করা হয়। বাড়িটি গাছের সেচের জন্য ১৫,০০০-লিটার ট্যাঙ্কে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করে। এছাড়াও দম্পতি মনে করেন যে, জলের একটা ফোঁটাও যাতে নষ্ট না হয়। বাড়িতে এমনভাবে চাষ করেছেন তারা, যে তাঁদেরকে বাইরে থেকে সবজি কিনতে হয়। বাড়িতে প্রায় সব রকমেরই সবজির চাষ রয়েছে। দিল্লির মতো একটা শহরে এমন একটা বাড়ি থাকা সত্যিই অবাক ব্যাপার।