Advertisement
সুপ্রিম কোর্ট
Advertisement
শেষ আপডেট: 5 July 2024 17:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে গত বছরের রায় পুনর্বিচার করবে সুপ্রিম কোর্ট। ১০ জুলাই থেকে এই বিষয়ে মামলার শুনানি শুরু হবে।
গত বছর শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছিল, দু’জন পুরুষ বা দু’জন মহিলার বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি আদালতের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। এটি সংসদের বিষয়। সেই রায়ে অবশ্য পাঁচ বিচারপতি সহমত ছিলেন না। দু’জন বিচারপতি বিয়ের স্বীকৃতির পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। তিনজন ছিলেন বিপক্ষে।
সেই মামলার রিভিউ পিটিশন বিবেচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ফের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করে আগের রায় খতিয়ে দেখা হবে। তাতে প্রধান বিচারপতি থাকবেন কি না স্পষ্ট নয়।
বর্তমানে পৃথিবীর ৩১টি দেশে সমলিঙ্গের বিয়ে বৈধ। এরমধ্যে ১১টি দেশে আদালতের নির্দেশ এই ধরনের বিয়ে স্বীকৃতি পেয়েছে। বাকি কুড়িটি দেশে সরকার আইন করে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ভারতে কয়েক হাজার সমলিঙ্গের দম্পতি আছেন। দু’জন নারী বা পুরুষ স্বামী-স্ত্রী’র মতো বাস করলেও বহু আইনি অধিকার থেকে তাঁরা বঞ্চিত। যেমন তাঁরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে বা বিমা করাতে একে অপরকে নমিনি হিসাবে উল্লেখ করার সুযোগ পান না। কারণ তাঁদের বিয়ে সরকারিভাবে স্বীকৃত নয়। একই কারণে তাঁরা শিশু দত্তক নিয়ে অপারগ। কারণ এই ধরনের স্বীকৃতিহীন দম্পতির হাতে শিশুকে দত্তক দেওয়া হয় না। এমন দম্পতিদের তরফে চারজন সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে দাবি করেছিলেন স্পেশ্যাল ম্যারেজ আইনে এই বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। শীর্ষ কোর্ট গত বছর তাদের হতাশ করে।
২০১৮-এর ৭ সেপ্টেম্বরের আগে ভারতে সমলিঙ্গের মধ্যে যৌন সম্পর্কও ছিল অপরাধ। তখন ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারায় বলা ছিল, সমলিঙ্গের দু’জন ব্যক্তির মধ্যে সম্পর্ক অপরাধ। ব্রিটিশ আইনের সেই ধারার বিরুদ্ধে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায়ে ওই ধারাটি অসাংবিধানিক বলে বাতিল করে দিয়ে বলে, সমলিঙ্গের প্রাপ্ত বয়স্ক দু’জন নিজেদের ইচ্ছায় যৌন সম্পর্কে জড়ালে তা অপরাধ বলে গন্য হবে না।
Advertisement
Advertisement