শেষ আপডেট: 21st October 2024 11:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু-কাশ্মীরে নতুন সরকার গঠনের দিন কয়েকের মধ্যেই গান্ডেরবালে হামলার দায় নিল পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তোইবার ছায়া গোষ্ঠী দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। রবিবারের ওই ঘটনায় কাশ্মীরি ও অ-কাশ্মীরি মিলিয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। টিআরএফের প্রধান শেখ সাজ্জাদ গুল এই জঙ্গি হামলার মূল চক্রী। তাদের সঙ্গে রয়েছে স্থানীয় শাখার সদস্য জঙ্গিরা।
টিআরএফ এখনও কাশ্মীরে সক্রিয় রয়েছে, তাদের মূল নিশানা হল কাশ্মীরি পণ্ডিত, শিখ ও অ-কাশ্মীরি বাসিন্দারা। প্রায় দেড় বছর ধরে পাকিস্তানি মদতপ্রাপ্ত এই জঙ্গিরা সম্প্রতি তাদের কৌশল পরিবর্তন করে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ছেড়ে তারা এখন কাশ্মীরি মানুষকে তাক করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গান্ডেরবালের সোনমার্গ এলাকায় একটি নির্মাণকার্য চলাকালীন হামলার আগে জঙ্গিরা জায়গাটি রেকি করে গিয়েছিল। গত একমাস ধরে তারা বিস্তারিত ছানবিন চালায়। এই হত্যাকাণ্ডটি দুই থেকে তিন জন জঙ্গির কাজ বলে মনে করছে গোয়েন্দা বিভাগ। সোমবার বিকেলে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার সন্ত্রাস দমন বিভাগের চার সদস্যের একটি তদন্তকারী দল ঘটনাস্থলে আসছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গে কাজ করার সময় জঙ্গিরা হামলা চালায়। ৭ জনের মৃত্যু ছাড়াও আরও পাঁচজন এই ঘটনায় জখম হয়েছেন। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের শরিক দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী সোমবার জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। রাহুল এই হামলাকে ভীরু কাজ বলে ব্যাখ্যা করে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা বলেন, এই ঘটনাকে কোনওভাবেই ক্ষমা করা যায় না।
তিনি আরও বলেন জঙ্গিদের এই কাপুরুষোচিত কাজে রাজ্যের মানুষ ভেঙে পড়বে না। এই জাতীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে, জঙ্গিদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার চারদিনের মাথায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ওমর আবদুল্লা বলেন, নিরীহ নিরস্ত্র মানুষের উপর আক্রমণ অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ।