শেষ আপডেট: 18th February 2025 11:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওড়িশার কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে নেপালের এক পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে পরিস্থিতি জটিল আকার নিয়েছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ওই ঘটনায় ভুবনেশ্বরের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি দিল্লিতে নেপালের দূতাবাসের এক পদস্থ কূটনীতিককে ভুবনেশ্বর পাঠিয়েছেন। কাঠমাণ্ডুতে ভারতের দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ করেছে নেপালি পড়ুয়ারা।
ভুবনেশ্বরের বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে নেপালের ছাত্রের দেহ মেলে সোমবার সকালে। ভুবনেশ্বর পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানায় ওই পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছে।
বিকালে মৃত ছাত্রের ভাই থানায় দাদার এক রুমমেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে লেখেন, ওই রুমমেট তাঁর দাদাকে ব্ল্যাকমেল করত। পুলিশ রাতেই লখনউয়ের বাসিন্দা ওই রুমমেট ছাত্রকে গ্রেফতার করে।
তার আগেই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপালি ছাত্ররা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করলে কর্তৃপক্ষ পুলিশ তলব করে। পুলিশ ওই ছাত্রদের তুলে নিয়ে যায়। পরে কর্তৃপক্ষ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নেপালি ছাত্রদের ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যেতে বলে। এই নির্দেশে আগুনে ঘি পড়ে।
ভুবনেশ্বরের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় এক হাজার নেপালি ছেলেমেয়ে পড়াশুনা করে। ভারত-নেপাল শিক্ষা প্রসার চুক্তি মেনে বিপুল সংখ্যক নেপালি ছাত্রকে ওই কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোহ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেপালি ছাত্রছাত্রীদের দফায় দফায় কটক রেল স্টেশনে পৌঁছে দেয়। নেপালের পড়ুয়ারা স্টেশনে গিয়েও প্রতিবাদ করেন। ভুবনেশ্বরের ঘটনার প্রতিবাদে ভারত ও নেপালের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও বিক্ষোভ করে পড়ুয়ারা।
এই সব ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নেপালের প্রধানমন্ত্রী। যে কারণে একজন ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি, জানিয়েছে নেপাল প্রশাসন।