শেষ আপডেট: 22nd January 2025 08:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যৌথ ভোট নিয়ে ২০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলল সংসদের যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসি। নির্বাচন কমিশনের কাছে তারা জানতে চেয়েছে, লোকসভা ও সব রাজ্য বিধানসভার ভোট একত্রে হলে নির্বাচন বাবদ খরচ কতটা কমবে? সারা দেশে এক সঙ্গে দুটি ভোট করার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবলের ব্যবস্থা কীভাবে হবে?
গত মাসে কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে ‘এক দেশ এক ভোট’ অর্থাৎ লোকসভার সঙ্গে বিধানসভাগুলির ভোট করানোর উদ্দেশে সংসদে বিল পেশ করেছে। সারা দেশে পাঁচ বছরে একবার ভোট নেওয়ার কথা বলা হয়েছে সংশ্লষ্ট বিলে। ২০২৯ সাল থেকে নয়া ব্যবস্থা কার্যকর করার কথা। বিলটি পাশ করানোর আগে সংসদের যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠায় সরকার।
সেই কমিটি মোট ২০টি প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। একমধ্য কমিটি দুটি প্রশ্নের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তারা জানতে চেয়েছে এক সঙ্গে পাঁচ বছরে একবার ভোট হলে এই বাবদ খরচ কী কমবে? কমিটির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হল, যৌথ ভোটে বিধানসভা নির্বাচনগুলি গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে না তো! তৃতীয় প্রশ্নে কমিশন জানতে চেয়েছে, যৌথ ভোটের মধ্যে রাজনীতিতে অনীহা তৈরির আশঙ্কা কতটা।
প্রসঙ্গত বিলটি নিয়ে বিতর্কে বিরোধীরা এই জাতীয় প্রশ্ন তুলেছিল। বিরোধীদের আপত্তির মুখে সরকার বিলটি সংসদের যৌথ কমিটির কাছে পাঠিয়েছে। সরকারপক্ষও চাইছে যতটা সম্ভব সহমতের ভিত্তিতে এগতে।
খরচ কম হবে কি না তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বর্তমান কর্তারা কখনও সওয়াল করেননি। যদি সাবেক মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ওপি রাওয়াত এক দশক আগে সরকারকে দেওয়া রিপোর্টে খরচ কমার বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। তার বক্তব্য, একটি ইভিএম ১০ বছর পর্যন্ত কার্যক্ষম থাকে। এই সময়ের মধ্যে যাবতীয় ভোট তাতে করানো যায়। পাঁচ বছরে একবার ভোট হলে ১৫ বছরে মাত্র তিনবার সেগুলি রাজে লাগানো যাবে। অর্থাৎ বাস্তবে খরচ কমবে না। তখনকার হিসাবে আরও তিরিশ লাখ ইভিএম কিনতে হবে। তাতে বিপুল টাকা খরচ হবে। সংসদীয় কমিটি প্রশ্নগুলি আইন মন্ত্রককে পাঠিয়েছে। আইন মন্ত্রক সেগুলি নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দেবে।