শেষ আপডেট: 21st February 2024 09:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লির দুয়ারে কৃষকদের আন্দোলন বুধবার হিংসাত্মক চেহারা নিতে পারে। এমনই আশঙ্কা।করছে পুলিশ। বুধবার দ্বিতীয় দফার আন্দোলন বেলা ১১'টায় শুরু হওয়ার কথা।
পাঞ্জাব-হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্তে জড়ো হওয়া কৃষকেরা মঙ্গলবার রাতে সেখানে বেশ কিছু পে লোডার, জেসিবি ইত্যাদি জড়ো করেছে। পুলিশের হিসাব হল, সেখানে পায় ১৪ হাজার কৃষক এখনই জড়ো হয়েছেন। সঙ্গে প্রায় বারশো ট্রাক্টর।
আন্দোলনরত কৃষকদের দুই প্রধান সংগঠনের নেতা স্বরণ সিং পন্ধের এবং জগজিৎ সিং দালেওয়াল বুধবার সকালে শাম্ভু সীমান্তে গিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের বলে এসেছেন, রাস্তা থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নিতে। তাঁদের বক্তব্য, কৃষকেরা জীবন দিতে প্রস্তুত। তাদের আটকানোর চেষ্টা হলে খারাপ কিছুর দায় পুলিশকে নিতে হবে।
এদিকে, কৃষকেরা ব্যারিকেড ভাঙতেই জেসিবি, পে লোডার মোতায়েন করেছে, এই আশঙ্কায় হরিয়ানা পুলিশের ডিজি মঙ্গলবার রাতে পাঞ্জাবের ডিজিকে চিঠি দেন। পাঞ্জাব পুলিশকে পড়শি রাজ্যের পুলিশ কর্তা অনুরোধ করেছেন, পে লোডার সরিয়ে দেওয়া হোক। এছাড়া শিশু সুরক্ষা আইনের ধারা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে থাকা নাবালকের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হবে। শিশু, নাবালকের নিয়ে আন্দোলনের অনুমতি দেওয়া যাবে না। হরিয়ানা পুলিশ ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ করেছে।
পাশাপাশি হরিয়ানা সরকার শাম্ভু সীমান্ত লাগোয়া অন্তত ছয়টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রেখেছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। কৃষকরা কেন্দ্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর আন্দোলন হিংসার দিকে গড়াতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই দফায় কৃষক আন্দোলনের শুরু থেকেই বিজেপি শাসিত হরিয়ানা পুলিশ মারমুখি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। কৃষকদের উপর ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে বিতর্কের মুখে পড়েছে ওই বাহিনী। অন্যদিকে, আম আদমি পার্টি শাসিত পাঞ্জাব সরকারের পুলিশ নমনীয় অবস্থান নিয়েছে।