শেষ আপডেট: 5th October 2024 19:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার বিকালে হরিয়ানা বিধানসভার ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। তারপরই হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরের বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হতে শুরু করেছে। পিপলস পালস নামে একটি সংস্থার সমীক্ষার ফল বলছে, দুই রাজ্যেই কংগ্রেসের জন্য সুখবর অপেক্ষা করছে। জম্মু-কাশ্মীরে হাত শিবির ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে যৌথভাবে ক্ষমতায় আসছে। অন্যদিকে, হরিয়ানায় তারা একক ভাবে বিপুল সংখ্যক আসন জিতে সরকার গড়বে।
হরিয়ানায় ৯০ আসনের মধ্যে কংগ্রেস ৫৬ এবং বিজেপি ২২টি আসন জিততে পারে বলে জানিয়েছে পিপলস পালস। ধ্রুব রিসার্চ নামে আর একটি সংস্থা জানিয়েছে, হরিয়ানায় কংগ্রেস ৫৭ থেকে ৬৪টি আসন পেতে পারে। বিজেপি পাবে ২৭ থেকে ৩২টি।
৯০ আসনের জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স ৪৭-টির বেশি আসন পেতে চলেছে বলে পিপলস পালস। দৈনিক ভাষ্কর খবরের কাগজের আভাসও তাই। হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরে তারাও কংগ্রেস এবং বিজেপি বিরোধীদের এগিয়ে রেখেছে।
তবে এখনও পর্যন্ত বুথ ফেরত সমীক্ষার জন্য বিখ্যাত সংস্থাগুলি এখনও তাদের বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশ করেনি। এখনও পর্যন্ত যে চারটি অখ্যাত সংখ্যা সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সব সংস্থাই হরিয়ানা কংগ্রেসকে ভাল মার্জিনে এগিয়ে রেখেছে।
হরিয়ানায় বিজেপির ভরাডুবির সম্ভাবনার কথা একাধিক প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় বলা হয়েছিল। দশ বছরের শাসনে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা তো ছিলই, দলের অন্তর্বিরোধও পদ্ম শিবিরের জন্য বিপদের কারণ হবে, আশঙ্কা করা হচ্ছিল। শনিবার ভোটের দিনও বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল বিজ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবি পেশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে বিরোধ আছে কংগ্রেসেও। তবে বিজেপির দশ বছরের শাসনে কৃষকদের ক্ষোভ দলকে বড় ধাক্কা দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে লড়াই কঠিন হবে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত ছিল। বিশেষ করে পিডিপি এককভাবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিজেপি ও কংগ্রেসের সমস্যা হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা আভাস তাতে স্পষ্ট, ন্যাশনাল কনফারেন্সের হাত ধরে কংগ্রেস মোটের উপর ভাল ফল করতে চলেছে। বিজেপি এমনকী জম্মুতেও আশানুরূপ ফল করছে না বলেও বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইন্ডিয়া টু’ডে-সি ভোটারের যথেষ্ট নামডাক আছে। তারা জানিয়েছে, ৯০ আসনের জম্মু-কাশ্মীরে কংগ্রেস-এনসি ৪০ থেকে ৪৭টি আসন পেতে চলেছে।
এরই মধ্যে হরিয়ানা কংগ্রেস ক্যাম্পে জয়ের আনন্দ শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা একটু আগে বলেছেন, কংগ্রেস সরকার গড়তে যাচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কংগ্রেসের জয়ের পিছনে হুডার ভূমিকা বেশি। মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য কংগ্রেসে আরও দুই দাবি হলেন রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং কুমারী শৈলজা। হুডার বক্তব্য, গণতন্ত্রে সকলের অধিকার আছে দাবি পেশ করার। হাইকমান্ড ঠিক করবে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
জম্মু-কাশ্মীরে কংগ্রেস-এনসি জোট ভাল ফল করলেও তুলনামূলকভাবে হাত শিবিরের প্রাপ্তি আশাব্যাঞ্জক নয়। বিশেষ করে জন্মু এলাকায় বিজেপির মোকাবিলায় কংগ্রেস ব্যর্থ হয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতৃত্ব চেয়েছিল কংগ্রেস জম্মু এলাকায় আরও জোরদার লড়াই করুক। কিন্তু হাত শিবির কাশ্মীর এলাকায় বাড়তি আসন দাবি করে জোটের ক্ষতি করেছে বলে একাধিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। বিজেপি জম্মু এলাকায় ভাল ফল করবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। বাস্তবে সেটাই হয়েছে।