প্রতিবাদে প্রকাশিত সাদা কাগজ।
শেষ আপডেট: 14th March 2025 07:43
তিনি আরও বলেন, ‘রেভন্ত সরকার যদি চায়, যে আমরা পাঠকদের বোঝাব যে তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের শাসনে স্বর্ণযুগ এসেছে, তবে তা কখনওই সম্ভব নয়। বরং আমরা প্রশ্ন করব, চাষের জমি অনুর্বর হয়ে যাচ্ছে কেন? কেন অভাবে মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে? কেন নিরীহ মেয়েরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে?’
পত্রিকাটি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও একহাত নিয়েছে। তাদের বক্তব্য, ২০২৩ সালে ওয়াশিংটনে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘ভারতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হুমকির মুখে, যা গোটা বিশ্ব দেখছে। গণতন্ত্রের স্বার্থে স্বাধীন সাংবাদিকতা অপরিহার্য, এবং সমালোচনা গ্রহণের মানসিকতা থাকা উচিত।’ অথচ এখন তার দলই উল্টো পথে হাঁটছে বলে অভিযোগ করেছে মুনসিফ ডেইলি।
পত্রিকার তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতের প্রায় সব উর্দু দৈনিকই মোদী সরকারের সমালোচনা করেছে, কিন্তু একটিও কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞাপন হারায়নি। অথচ রেভন্ত রেড্ডির কংগ্রেস সরকার সত্য বলার ‘অপরাধে’ আমাদের শাস্তি দিচ্ছে।’
পত্রিকাটি আরও বলে, ‘১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিলেন। আজ তার দল আবার সেই ভুল করছে। তবে সবাই জেনে রাখুক— কলমের শক্তি এখনও তরবারির চেয়ে বেশি। ভারতের সাংবাদিকতা কোনওদিন চুপ করে থাকবে না।’