প্রদীপ কুমার সাইনি।
শেষ আপডেট: 15th January 2025 16:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পরে সবাই কি আইআইটি বা এনআইটির মতো নামী প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পায়? যারা পায় না, তাদের কি স্বপ্ন পূরণের পথ বন্ধ হয়ে যায়? একেবারেই না! এমনই এক গল্প তুলে ধরেছেন প্রদীপ কুমার সাইনি। টিয়ার-২ কলেজ থেকে স্নাতক হলেও নিজের অধ্যবসায়, দক্ষতা এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে তিনি অর্জন করেছেন এমন সাফল্য (Techie Success), যা অনেকের কাছেই কল্পনাতীত। আজ তিনি বছরে ৫০ লক্ষের বেশি আয় করছেন এবং হাজারো মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তার জীবনের এই যাত্রা প্রমাণ করে, প্রতিষ্ঠানের নাম নয়, বরং আত্মোন্নতি আর চেষ্টা-ই একজনকে সত্যিকারের সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
নিজের পেশাগত জীবনের এমনই উত্থান-পতনের গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন প্রযুক্তিবিদ প্রদীপ কুমার সাইনি। সেই নিয়েই উচ্ছ্বসিত নেট দুনিয়া। কারণ তাঁর এই কাহিনি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে সকলকে। তিনি কীভাবে আইআইটি বা এনআইটির মতো নামী প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি হতে ব্যর্থ হয়েও নিজের দক্ষতায় উচ্চপর্যায়ের চাকরি পেয়েছেন, তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে বি.টেক করেন প্রদীপ কুমার সাইনি। তিনি জানান, স্নাতক হওয়ার পরে একটি কম মাইনের চাকরি দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। এর পরে কোভিডের সময়ে তিন মাস বেকারত্বের সঙ্গেও লড়াই করেছেন।
তবে হাল ছাড়েননি। ধীরে ধীরে তিনি নিজেকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছেন, যেখানে তিনি এখন বছরে ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি আয় করছেন। নিজের যাত্রাপথ নিয়ে ইনস্টাগ্রাম ও লিঙ্কডইনে পোস্ট করেছেন প্রদীপ।
প্রদীপ বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন, সময় এবং প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে কিভাবে আপডেট রেখেছেন তিনি। তাঁর পোস্টে উঠে এসেছে, কীভাবে তিনি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে নিজের দক্ষতা বাড়িয়েছেন এবং একজন সফল কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠেছেন।
তাঁর চ্যানেলে কোডিং, সিস্টেম ডিজাইন, ইন্টারভিউ টিপস এবং সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য কেরিয়ার গাইডেন্স সম্পর্কিত টিউটোরিয়াল রয়েছে।
লিঙ্কডইনে প্রদীপের প্রোফাইল অনুযায়ী, তিনি শপক্লুজ, পেটিএম এবং হেল্থকার্ট-এ কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি জি এন্টারটেনমেন্ট-এ কর্মরত। পাশাপাশি, ২০২৪ সাল থেকে তিনি ইউটিউবে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে নিজের যাত্রা শুরু করেন।
তাঁর এই কাহিনি অনেককে উৎসাহিত করলেও, অনেকে বলেছেন, ‘এটা দেরিতে পাওয়া সাফল্য।’ সাইনি উত্তরে লিখেছেন, ‘আমার বয়স এখন ৩৯। বয়স শুধুই একটি সংখ্যা। আমি ৮ বছরের অভিজ্ঞতার পর ভাল উপার্জন শুরু করেছি এবং বর্তমানে আমার অভিজ্ঞতা ১৭ বছর। আমি সুখী এবং জীবন উপভোগ করছি। ৩৫ বছর বয়সে জীবনের মূল প্রয়োজনীয় কাজগুলো সম্পন্ন করেছি। তাই একে দেরি বলা যায় না।’