Advertisement
Advertisement
শেষ আপডেট: 21 February 2024 13:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন কৃষকরা। বুধবার সকাল থেকে ফের ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে নেমেছেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা। আন্দোলনের তেজ আরও বাড়িয়ে নিজেদের দাবিদাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে এগিয়ে চলেছেন ১৪ হাজার কৃষক। এদিন পঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমানা পার হতেই কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। আন্দোলন ঠেকাতে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস।
কৃষকদের কোনোভাবেই রাজধানীতে ঢুকতে দিতে রাজি নয় পুলিশ। বিক্ষোভ থামাতে নামানো হয়েছে আধা সামরিক বাহিনী। যদিও হার মানতে রাজি নয় কৃষকেরা। ট্র্যাক্টরগুলিকেই ‘অস্থায়ী ট্যাঙ্ক’ হিসাবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষকদের সংগঠনগুলি। পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল থেকে রক্ষা পেতে সেখানেই আশ্রয় নিচ্ছেন কৃষকেরা। কাঁদানে গ্যাসের থেকে বাঁচতে বস্তা ভিজিয়ে রাখার প্রস্তুতিও নিয়েছেন তাঁরা।
বুধবার যে আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়বে তা আগে থেকেই আন্দাজ করেছিল পুলিশ। তাই বিক্ষোভ আটকাতে পুলিশ বিভিন্ন পন্থা নিয়েছে। সিমেন্টের ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। কাঁটাতার সহ শিপিং কন্টেনার দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে গোটা রাস্তা। পেরেকের চাদর মুড়ে দেওয়া হয়েছে হাইওয়ে।
এদিকে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় কেন্দ্র। এর আগে বার বার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেও রফাসূত্র বার হয়নি। গত রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। চতুর্থ দফার ওই বৈঠকে আন্দোলনকারী কৃষকদের আগামী পাঁচ বছরের জন্য শস্যের সহায়ক মূল্য (এমএসপি) নিয়ে কেন্দ্র একটি প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবনা পড়া ও তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার জন্য ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি সময় চান কৃষকরা। তবে সমস্যার সমাধান না হলে এবং দাবি পূরণ না হলে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের অভিযান শুরু হবে বলেও জানিয়েছিলেন তাঁরা।
এরপরই কেন্দ্রের প্রস্তাব মানতে নারাজ বলে জানিয়েছে আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের বক্তব্য,“সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব এসেছে তাতে তাঁদের কোনও লাভ হবে না। সেই মতো বুধবার থেকে আরও জোরালো বিক্ষোভে নেমেছেন কৃষকেরা।
প্রসঙ্গত, সমস্ত শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান সহ বিভিন্ন দাবিতে ফের রাস্তায় নেমেছেন কৃষকরা। সহায়ক মূল্যের পাশাপাশি কৃষিঋণ মকুব, স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করা, কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের পেনশনের ব্যবস্থা করা এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ যে সব মামলা করেছে, তা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন কৃষকরা।
Advertisement
Advertisement