শেষ আপডেট: 11th March 2025 12:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোনা পাচারের অভিযোগে জেল হেফাজতে থাকা কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাওয়ের এক বন্ধুকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করল ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (DRI)। তরুণ রাজু নামে রানিয়ার বন্ধু তাঁর সঙ্গেই দুবাই গিয়েছিলেন। রাজু প্রখ্যাত হোটেল সংস্থা আটরিয়ার মালিকের নাতি। তাঁকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর ডিআরআই গ্রেফতার বিশেষ আর্থিক আদালতে তোলে। আদালত তাঁকে পাঁচদিন তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, রাজু ও রানিয়া পরস্পরের খুবই বন্ধু। শুধু বন্ধুত্বই নয়, বিদেশ থেকে একাধিকবার সোনা পাচারে রানিয়ার জুড়িদার ছিলেন এই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর নাতি। ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, কিন্তু তাঁদের বন্ধুত্বে ভাটা পড়ে যখন রানিয়া আর্কিটেক্ট যতীন হুক্কেরিকে বিয়ে করেন তার পর থেকে। তবে তাঁরা সোনা পাচারের মতো বেআইনি চক্র চালিয়ে যেতে থাকেন। দুবাই থেকে সোনা নিয়ে ফেরার সময় সেই তথ্য রাজুকে জানিয়েছিলেন রানিয়া। যে সূত্র থেকেই রাজুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনদিনের ডিআরআই হেফাজতে থাকাকালীনই রাজুকে ডেকে তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়।
এদিকে, সোনা পাচার কাণ্ডে কর্নাটক সরকার পৃথক একটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি প্রতিবার বিদেশ সফর থেকে ফেরার সময় নিরাপত্তা তল্লাশির মতো বেষ্টনী ভেঙে বিধি ভঙ্গ করেছেন। যার ফলে শেষবার তিনি সোনা সহ বমাল ধরা পড়েন বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, এই তদন্ত চালাবেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব গৌরব গুপ্ত।
রাজ্য সরকারের ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, রানিয়া রাও কীভাবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বেষ্টনী উপেক্ষা করে বেরিয়ে আসতেন, তিনি কীভাবে শীর্ষ অফিসারদের জন্য নির্দিষ্ট অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ করতেন, এবং কর্নাটক রাজ্য পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের জিডিপি পদমর্যাদার অফিসার রানিয়ার সৎবাবা এমডি রামচন্দ্রনের কোনও ভূমিকা আছে কিনা, তা এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।