সরকারের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, একজন বলিউড অভিনেত্রীকে বেছে নেওয়ার যৌক্তিকতা ঠিক কী?
তামান্না ভাটিয়া (ছবি দ্য ওয়াল)
শেষ আপডেট: 23 May 2025 05:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বলিউড অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকে কর্নাটক সোপস অ্যান্ড ডিটারজেন্টস লিমিটেড (KSDL)-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে নিযুক্ত করল কর্নাটক সরকার। এই সংস্থাই তৈরি করে বিখ্যাত ‘মাইসোর স্যান্ডেল সোপ।’
বুধবার রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত এক সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, তামান্নাকে ৬.২ কোটি টাকার পারিশ্রমিকে দু'বছর দু'দিনের জন্য এই দায়িত্ব দেওয়া হল।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, একজন বলিউড অভিনেত্রীকে বেছে নেওয়ার যৌক্তিকতা ঠিক কী? একজন মহিলা 'এক্স হ্যান্ডেল'-এ লেখেন, 'যখন আশিকা রঙ্গনাথের মতো স্থানীয় কন্নড় অভিনেত্রীদের নেওয়া যেত, তখন হিন্দি অভিনেত্রীকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর বানিয়ে প্রচার করার অর্থ কী?'
এই বিতর্ক কানে যায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী এমবি পাতিল বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, 'এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অনেক চিন্তাভাবনার পর, মূল উদ্দেশ্য হল কর্নাটকের বাইরে অর্থাৎ অন্যান্য রাজ্যের বাজারে প্রবেশ করা।'
তাঁর কথায়, 'KSDL-এর কন্নড় চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির প্রতি গভীর আস্থা ও শ্রদ্ধা রয়েছে। এমনকি কিছু কন্নড় ছবি বলিউডকেও টেক্কা দিচ্ছে। মাইসোর স্যান্ডেল-এর ব্র্যান্ড কর্নাটকে যথেষ্ট শক্তিশালী, যা আরও মজবুত করা হবে। কিন্তু এই ব্র্যান্ডের লক্ষ্য এখন কর্নাটকের বাইরেও বাজার দখল করা।'
তিনি আরও বলেন, 'কর্নাটকের গর্ব গোটা দেশেরও গর্ব। তাই এটি একটি স্বতন্ত্র কৌশলগত সিদ্ধান্ত, যা পাবলিক সেক্টর ইউনিট বা পিএসইউ (PSU)-এর বোর্ড বিভিন্ন মার্কেটিং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়েছে।'
ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়া যে সহজ নয়, সে কথাও উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী পাতিল। জানান, এমন কাজে অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। যেমন সংশ্লিষ্ট সেলিব্রিটি কতোটা সময় দিতে পারবেন। অন্য কোনও প্রতিযোগী ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি আছে কি না তাঁর, সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি কতোটা সক্রিয় বা ফলোয়ারক কতোটা, ব্র্যান্ডের সঙ্গে সাযুজ্য, পণ্যের ধরণ, টার্গেট অডিয়েন্স এবং বাজারে পৌঁছনোর ক্ষমতা।
মাইসোর স্যান্ডেলকে ২০২৮ সালের মধ্যে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে চাইছে এই সংস্থা যাতে কেএসডিএলের বার্ষিক আয় ৫ হাজার কোটি টাকা স্পর্ষ করে। তাই তামান্নার সঙ্গে চুক্তি ঘিরে বিতর্ক যতই থাকুক, সরকারের স্পষ্ট বার্তা, ‘মাইসোর স্যান্ডেল’ এখন শুধু কর্নাটকের গর্ব নয়, গোটা দেশের বাজারে একইভাবে জনপ্রিয় হতে চলেছে।