মাত্র একজন যাত্রী ছাড়া আর কেউ বেঁচে ফেরেননি ওই দুর্ঘটনা থেকে। বিমানটি ভেঙে পড়েছিল একটি জুনিয়র ডাক্তারদের হস্টেলের ওপর।
মৃত দুই পাইলট - সুমিত সাব্রওয়াল, (ডানদিকে) ক্লাইভ কুন্দর
শেষ আপডেট: 13 June 2025 14:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একজন সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছিলেন চাকরি ছেড়ে দেওয়ার। অন্যজনের স্বপ্নের চাকরির যাত্রা সবে শুরু হয়েছিল। আমদাবাদের এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা (Ahmedabad Plane Crash) দুই পাইলটের জীবনকে যেন এক সুতোয় বেঁধে দিল। মৃত ২৪১ জনের মধ্যে এই দুজনের নামও রয়েছে - ক্যাপ্টেন সুমিত সাব্রওয়াল (Captain Sumeet Sabharwal) এবং ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর (First Officer Clive Kunder)।
আমদাবাদ থেকে লন্ডন যাচ্ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ বিমানটি (Air India Boeing Dreamliner)। কিন্তু উড়ানের মিনিট কয়েকের মধ্যেই তা বিমানবন্দর চত্বরেই ভেঙে পড়ে। মাত্র একজন যাত্রী ছাড়া আর কেউ বেঁচে ফেরেননি ওই দুর্ঘটনা থেকে। বিমানটি ভেঙে পড়েছিল একটি জুনিয়র ডাক্তারদের হস্টেলের ওপর। সেখানেও কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 'মে ডে' কল করেও লাভ পাননি পাইলটরা কারণ ঘটনাটি কার্যত চোখের নিমেষে ঘটে গেছে। তাই অভিজ্ঞতা থাকলেও দুই পাইলটকে (Pilots) কার্যত মেনে নিতে হয়েছে মৃত্যুকে।
ক্যাপ্টেন সুমিত সাব্রওয়াল
মুম্বইয়ের বাসিন্দা সুমিতের একার ফ্লাইং অভিজ্ঞতা ছিল ৮ হাজার ২০০ ঘণ্টার। তাঁর পরিবারের তরফে জানান হয়েছে, মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই তিনি জানিয়েছিলেন চাকরি ছেড়ে দেবেন। সুমিতের বাবার বয়স ৮২ বছর। তাঁর দেখভাল করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, বৃদ্ধ বাবার সেবাযত্ন করার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন সুমিত।
কো-পাইলট ক্লাইভ কুন্দর
স্বপ্নের চাকরি ছিল। কয়েক বছর আগেই শুরু করেছিলেন নিজে উড়ান। এতদিনে ১ হাজার ১০০ ঘণ্টার ফ্লাইং অভিজ্ঞতা হয়ে গেছিল তাঁর। পরিবারের অনেকেই এই পেশায় ছিলেন। মা একসময়ে ক্রু সদস্য হিসেবে কাজও করেছেন। তাই উড়ান সম্পর্কে আগ্রহ ছোট থেকেই ছিল কুন্দরের। সেই ইচ্ছে থেকে পাইলট হয়েছিলেন ক্লাইভ। স্বপ্নের পেশায় জীবন কেড়ে নিল।
আমদাবাদের দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল তা এখনও পরিষ্কার নয়। কেউ মনে করছেন যান্ত্রিক ত্রুটি, কেউ মনে করছেন 'হিউম্যান এরর'। আবার কারও ধারণা, পাখির ধাক্কায় এমন হয়েছে। তবে 'ব্ল্যাক বক্স' উদ্ধার হওয়ায় ঘটনার আসল কারণ খুব তাড়াতাড়ি সামনে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।