তাহাউর রানা।
শেষ আপডেট: 7th March 2025 10:40
এছাড়া, তিনি তাঁর শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। তাঁর আইনজীবীরা আদালতে জানান, তিনি একাধিক হার্ট অ্যাটাক, পার্কিনসনস ডিজিজ, ব্লাডার ক্যানসারের আশঙ্কা, স্টেজ ৩ ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, অ্যাজমা এবং কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় জেলে বন্দি হওয়া তার জন্য 'প্রকৃত অর্থে মৃত্যুদণ্ড' হবে বলে তিনি দাবি করেন।
সব শোনার পরেও মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তারা ইতিমধ্যেই তাহাউরের প্রত্যর্পণের অনুমোদন দিয়েছে এবং এই বিষয়ে নতুন করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এর পরেও রানার আইনজীবীরা মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কাছে জানতে চান, ভারত সরকার তাঁর মক্কেলকে নিয়ে কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু মার্কিন প্রশাসন কোনও তথ্য দিতে অস্বীকার করে বলে জানা গেছে।
কয়েক সপ্তাহ আগেই ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, 'খুব শিগগিরই রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হবে এবং তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।' এর পরেই শুরু হয় প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া।
সে প্রক্রিয়া রুখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন রানার আইনজীবীরা। তাঁদের যুক্তি, 'যদি প্রত্যর্পণ স্থগিত না করা হয়, তাহলে মার্কিন আদালতের এক্তিয়ার থাকবে না এবং রানা ভারতে পৌঁছোনোর আগেই হয়তো মারা যাবেন।' একথা বলে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেন, এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ফেডারেল আদালত, সার্কিট কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে সম্পূর্ণ শুনানি না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যর্পণ স্থগিত রাখা হোক।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ের আটটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা চালায় পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিরা। এই হামলায় ১৬৬ জন নিহত হন এবং বহু মানুষ আহত হন। রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এই হামলার অন্যতম মূল পরিকল্পনাকারী ডেভিড কোলম্যান হেডলির সহযোগী ছিলেন।
এখন দেখার, মার্কিন প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস এই নতুন আবেদন গ্রহণ করবেন, নাকি তাহাউর রানাকে প্রত্যর্পণের চূড়ান্ত পথেই এগিয়ে দেওয়া হবে।