শেষ আপডেট: 16th July 2024 13:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছিল। সেই মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। দেশের শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে যোগ্য-অযোগ্যদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানাল, সব পক্ষের বক্তব্য শুনবে তারা। এরপরই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়।
চাকরি বাতিলের রায় আসার পরপরই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যায়। আলাদাভাবে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশও। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য এবং এসএসসি জানিয়েছে তারা হলফনামা জমা দিতে চায়। এই প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই হলফনামা জমা দিতে হবে তাদের। এছাড়াও বাকি সব পক্ষকে হলফনামা দিতে হবে এই সময়ের মধ্যেই। তারপর আর কারও হলফনামা নেওয়া হবে না।
মূলত পাঁচ পক্ষের বক্তব্য শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। তারা হল রাজ্য সরকার, এসএসসি, মূল মামলাকারী, চাকরিহারাদের একাংশ এবং সিবিআই। এর পাশাপাশি যদি কেউ আলাদা করে কেউ কিছু জানাতে চান তাহলে লিখিতভাবে জানানো যাবে। তবে কোনও বক্তব্যের নথি ৫ পাতার বেশি হওয়া চলবে না। শীর্ষ আদালত এই নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছে, আগামী ৩ সপ্তাহ পর এই মামলার ফের শুনানি হবে। অর্থাৎ আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
গত এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই সিবিআই চাকরিহারাদের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাইয়ের কাজ শুরু করে। সিবিআই সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাইপর্ব হয়ে গেছে। ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থীদের সাক্ষাৎপর্ব ও তথ্য সংগ্রহের কাজও প্রায় শেষ করে এনেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।