শেষ আপডেট: 27th January 2025 16:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২৬ হাজার চাকরিপ্রাপকদের ভবিষ্যৎ কী হবে তার উত্তর এখনও ঝুলে রইল সুপ্রিম কোর্টে। এসএসসি-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার গত শুনানিতে শীর্ষ আদালত মূলত যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করার উপরে জোর দিয়েছিল। এদিনও সেই একই বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হয়।
সোমবার শীর্ষ আদালতে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, "এই দুর্নীতি এমনভাবে করা হয়েছে যাতে কেউ অবৈধ নিয়োগ খুঁজে বার না করতে পারে। নিয়োগ দুর্নীতির স্পনসর রাজ্য সরকার। পরীক্ষায় না বসেই মিলেছে চাকরি। সন্দেহ থাকলে পুরো প্যানেল বাতিল করেই নতুন করে নিয়োগ করা উচিত।"
যদিও নতুন করে নিয়োগের বিষয়টিতে আপাতত একমত নয় সুপ্রিম কোর্ট। বিকাশরঞ্জনের সওয়ালের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, "নতুন করে নিয়োগ মানে অনেক জটিলতা।" পাল্টা বিকাশ বলেন, "কিছু ঝামেলা সহ্য করে যারা পরীক্ষায় বসেছিলেন শুধু তাঁদেরই সুযোগ দেওয়া উচিত।"
প্রধান বিচারপতি এরপর স্পষ্ট করে জানতে চান "যারা কেবলমাত্র পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁদের?" মামলাকারীদের আইনজীবীর তরফে বিকাশ জানিয়ে দেন, "হ্যাঁ এবং বয়ঃসীমা তুলে দেওয়াও দরকার।" বিষয়টি নিয়ে সোমবার স্বাভাবিকভাবেই কোনও নির্দেশ দেননি তিনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে চাকরি বাতিলের মামলাটি শুনেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই বেঞ্চ চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে নিযুক্ত হওয়ার পরে মামলাটি প্রথমবার তাঁর এজলাসে উঠেছে।
সোমবারের শুনানির আগে প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করা হবে, না কি যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের আলাদা করা হবে তা বিবেচনা করা হবে। সিবিআই সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাইপর্ব হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই তালিকা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি শীর্ষ আদালত।