শেষ আপডেট: 5th August 2024 07:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০১০ সাল পরবর্তী সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য। আজ সোমবার শীর্ষ আদালতে সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি হতে চলেছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ শুনবে রাজ্যের আর্জি।
গত মে মাসে ওবিসি সংরক্ষণ মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছিল রাজ্য। ২০১০ সালের পরে তৈরি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও ২০১০ সালের পরে ওবিসি সংরক্ষণের কারণে যারা চাকরি পেয়েছেন বা নিয়োগপ্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে। বাকিরা আর চাকরিপ্রক্রিয়ায় ওই শংসাপত্র ব্যবহার করতে পারবেন না, এমনই নির্দেশ দেয় বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ।
উচ্চ আদালত জানিয়েছিল, ১৯৯৩ সালের ওবিসি সংরক্ষণ আইন অনুসারে রাজ্যকে নতুন করে তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই নতুন তালিকা তৈরি করবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন।
২০১০ সালের পরে যে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে, তা যথাযথভাবে আইন মেনে বানানো হয়নি, এই প্রেক্ষাপটেই কয়েক লক্ষ শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতিদ্বয় এই রায় ঘোষণা করে জানান, এরপর কারা ওবিসি সংরক্ষণের আওতায় থাকবেন তা রাজ্যের আইনসভা অর্থাৎ বিধানসভাকে ঠিক করতে হবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার কমিশনের ওবিসিদের তালিকা বিধানসভাকে পাঠাতে হবে। এরপর বিধারসভা যাঁদের নাম অনুমোদন দেবে পরবর্তীকালে তাঁরাই ওবিসি বলে গণ্য হবেন।
এদিকে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই ২০১০ সালের পর তৈরি হওয়া ওবিসি সার্টিফিকেট কাজে লাগিয়েছেন। তাই হাইকোর্টের রায়ের পর তাঁদের চাকরির ভবিষৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই উত্তরে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কয়েক লক্ষ শংসাপত্র বাতিলের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও প্রভাব পড়বে না। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সোমবার সেই মামলা উঠতে চলেছে শীর্ষ আদালতে।