শেষ আপডেট: 21st October 2024 20:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ডিগ্রি বিতর্কে’ অস্বস্তি যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। সোমবার সুপ্রিম কোর্টেও খারিজ হয়ে গেল আপ প্রধানের আবেদন।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়েছিল গুজরাত হাইকোর্টে। পাশাপাশি দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ২৫ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়। সেই রায়ের বিরোধিতা করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টও সেই আবেদন খারিজ করে দিল।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ আর্জি খারিজ করে সাফ জানিয়েছে এই বিষয়ে কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করা হবে না।
এদিন আদালতে আপ সুপ্রিমোর আইনজীবী জানান, এই মামলায় তাঁর মক্কেলের নাম সরাসরি কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। পাল্টা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, এমন অভ্যাস কেজরির রয়েছে। আগেও বারবার খারাপ মন্তব্য করলেও ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। এরপরই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শীর্ষ আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় এই বিষয়ে আদালত কোনও মন্তব্য করতে চায় না। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয় এমন আর্জির কোনও গুরুত্বই নেই।
শুধু কেজরিওয়ালই নয়, আপ নেতা সঞ্জয় সিংয়ের বিরুদ্ধেও একই মামলা রুজু হয়েছিল। গত ৮ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে গেলেও শীর্ষ আদালত তাঁর আর্জি খারিজ করে দেয়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল দিল্লি ও গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির প্রতিলিপি চেয়ে না পেয়ে জাতীয় তথ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কমিশন প্রধানমন্ত্রীর অফিস এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে স্পষ্ট জানিয়েছিল, ডিগ্রির প্রতিলিপি প্রকাশ করতে।
তথ্য কমিশনের ওই আদেশের বিরুদ্ধে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়। তারা বলে, একজন পড়ুয়ার ডিগ্রির কপি তারা অন্য একজনকে দিতে পারে না। তাৎপর্যপূর্ণ হল, গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় সরকারের আইন আধিকারিক সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, এই দাবির সঙ্গে জনস্বার্থের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য বিশেষ ডিগ্রির কোনও প্রয়োজন নেই।