শেষ আপডেট: 3rd February 2025 14:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বিতর্কিত অডিও টেপের সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ কুকি অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটস ট্রাস্টের আনা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেয়। সংগঠনটি বিতর্কিত অডিও টেপের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন শীর্ষ আদালত মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠস্বরের ফরেনসিক রিপোর্ট সিল করা খামে জমা দিতে বলে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৪ মার্চ।
অভিযোগে বলা হয়েছিল, মণিপুরে সংঘটিত জাতিদাঙ্গার সময় বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং তাতে ইন্ধন জুগিয়ে উসকানিমূলক কথা বলেছিলেন। ট্রুথ ল্যাবের পরীক্ষিত সেই অডিও টেপ এদিন আবেদনকারীদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। ট্রুথ ল্যাবের রিপোর্ট বলছে, মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠস্বর ৯৩ শতাংশ সঠিক। এই অডিও টেপে শোনা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মেইতি সম্প্রদায়ের কাউকে রাজ্যের অস্ত্রভাণ্ডার লুটের পরামর্শ দিচ্ছেন এবং তার পরে যাতে তাদের পুলিশ গ্রেফতার না করে সে ব্যাপারে আশ্বস্ত করছেন।
ভূষণ আরও জানান, ওই বন্ধ দরজা বৈঠকে এক ব্যক্তি ঘটনাচক্রে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশটি রেকর্ড করেছিলেন এবং তা পরে ফাঁস হয়ে যায়। ভূষণের দাবি, এতেই বোঝা যায় যে, খোদ মুখ্যমন্ত্রী এই জাতিদাঙ্গায় মদত ও উৎসাহ জুগিয়েছিলেন। এর জবাবে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রাথমিকভাবে আবেদনকারীর আর্জির প্রতিবাদে বলেন, এ বিষয়ে এফআইআর হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। তাই বিষয়টি প্রথমে হাইকোর্টের বিচার্য হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, তদন্তকারী সংস্থা ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের কাছেও কণ্ঠস্বর পরীক্ষার জন্য দিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠস্বর পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
কুকিদের ওই সংগঠন সর্বোচ্চ আদালতে একটি আবেদন জানায়। তাদের অভিযোগ, উত্তর-পূর্বের এই ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের একটি কথাবার্তায় রেকর্ড করা অংশ ফাঁস হয়ে গিয়েছে। যাতে প্রমাণ হয়, তিনি নিজে মণিপুরের জাতিদাঙ্গায় যে হিংসা ছড়িয়েছে, তাতে প্রত্যক্ষভাবে উসকানি দিচ্ছেন। এ বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে আর্জি জানায় কুকি সংগঠনটি। ভূষণ আদালতে বলেছিলেন, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, এই অডিও ক্লিপের গ্রহণযোগ্যতা কতদূর প্রমাণসাপেক্ষ তার তথ্য জোগাড় করে আনতে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী তিনি অডিও অংশটি ট্রুথ ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলেন। সেই রিপোর্ট তিনি আবেদনের সঙ্গে পেশ করেছেন বলেও দাবি করেন।