শেষ আপডেট: 10th February 2025 18:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন দেশের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ দুশ্চিন্তার বিষয়। এই মন্তব্য করে সোমবার জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের আট ও নয় নম্বর ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আনা একটি জনস্বার্থ আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। আবেদনকারী দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের এমপি-এমএলএ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন আদালতে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও মনমোহনের বেঞ্চে আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়ের আনা জনস্বার্থ আর্জির শুনানি চলছিল। উপাধ্যায় তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন, যে এমএলএ এবং এমপিদের অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তাঁদের সারা জীবনের মতো যেন জনপ্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ থেকে বরখাস্ত করা হয়। তিনি একইসঙ্গে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের বিভিন্ন ধারায় যেসব বিধি রয়েছে, সেগুলির বৈধতা নিয়েও চ্যালেঞ্জ জানান আদালতের সামনে।
ওই বিধিতে জেল ফেরত কোনও নেতাকে ৬ বছর নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ দেওয়া হয় না। কিন্তু, তারপর তিনি আবার ভোটে দাঁড়াতে পারেন। কিন্তু, আবেদনকারীর দাবি, একবার দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের যেন জীবনের মতো বিধানসভা কিংবা সংসদের চৌকাঠ মাড়াতে না দেওয়া হয়। আদালত বান্ধব প্রবীণ আইনজীবী বিজয় হংসারিয়া বলেন, এই বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশ সত্ত্বেও এমপি/এমএলএদের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ হাজার ফৌজদারি মামলা বকেয়া পড়ে রয়েছে। আবেদনে আরও প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তিনি কি নতুন কোনও রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারেন নাকি তাঁকে তাঁর রাজনৈতিক দলের কোনও পদাধিকারী হিসেবে রাখা যায়?
তিনি আদালতে বলেন, এটা খুবই লজ্জার বিষয় যে, লোকসভার বর্তমান সদস্যদের ৪২ শতাংশের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা রয়েছে। এবং কারও কারও ক্ষেত্রে ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে মামলা বকেয়া রয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যে বিশেষ আদালতগুলি গঠন করা হয়েছে সেখানে এমপি/এমএলএ মামলা ছাড়াও অন্য মামলা চলে। অভিযুক্ত হাজিরা দেন না এবং তাই বারবার মুলতুবি করতে হয় শুনানি। এছাড়াও সাক্ষীদের কাছে সমন সময়মতো পৌঁছায় না।