সর্বোচ্চ আদালতের কাছে বাহাদুর শাহের বংশধর হিসেবে লালকেল্লার দখলিস্বত্ত্ব দাবি করে আর্জি।
শেষ আপডেট: 5 May 2025 13:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের বংশধর দাবি করে লালকেল্লাকে উত্তরাধিকার সম্পত্তি বলে সুপ্রিম কোর্টে তোলা একটি আর্জি সোমবার খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। এক মহিলার দাবি, তিনি মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহের উত্তরসূরী। সেই হিসেবে লালকেল্লা তাঁদের বংশের সম্পত্তি। তিনি সর্বোচ্চ আদালতের কাছে বাহাদুর শাহের বংশধর হিসেবে লালকেল্লার দখলিস্বত্ত্ব দাবি করে আর্জি জানিয়েছিলেন।
মহিলার আবেদনকে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা বলে দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ বলে, শুধু লালকেল্লা কেন? ফতেপুর সিক্রিই বা নয় কেন? এগুলিকে ছেড়ে দিচ্ছেন কেন? আবেদন সম্পূর্ণ ভুল ধারণার বশবর্তী এবং আদালত তা খারিজ করে দিচ্ছে, জানিয়ে দেয় বেঞ্চ।
সুলতানা বেগম নামে ওই মহিলা বাহাদুর শাহ জাফরের পৌত্রের বিধবা পুত্রবধূ বলে দাবি জানিয়ে আর্জি জানান সুপ্রিম কোর্টে। আবেদন খারিজের পরেও আবেদনকারী আদালতের কাছে অনুরোধ করেন প্রমাণের উপর দাঁড়িয়ে যেন খারিজ না করা হয় আর্জি। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টেও সুলতানা বেগমের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শীর্ষ আদালত তাতে কর্ণপাত না করে রায় দেয়, বাতিল।
সুলতানা বেগম প্রথমে একক বিচারপতির বেঞ্চে লালকেল্লার দাবি জানিয়েছিলেন। তা খারিজ হওয়ার ৯০০ দিন পর তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কেন এতদিন পর আবেদন করা হয়েছে, এই যুক্তিতে দিল্লি হাইকোর্টের তাঁর আবেদন বাতিল হয়ে যায়। মহিলার দাবি ছিল, অসুস্থতার কারণে তাঁর দেরি হয়েছে। তাঁর যুক্তি, লালকেল্লা বেআইনিভাবে দখল করে রাখা হয়েছে। তাই তিনি এর দখল ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। চলতি বছরের গোড়ার দিকেও কলকাতার কাছে হাওড়ায় একটি দু-কামরার ছোট্ট ঘরে থাকতেন ৬০ বছর বয়সি সুলতানা। যার সঙ্গে মুঘল সাম্রাজ্যের উত্তরসূরীর সামান্যতম মিলও নেই।