শেষ আপডেট: 29th July 2024 13:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাটনা হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, সেটাই বজায় রাখল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ, সংরক্ষণ আইন ইস্যুতে ধাক্কা খেল নীতীশ কুমারের সরকার। বিহারের সংরক্ষণ আইন বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করেই দেশের শীর্ষ আদালত গেছিল বিহার সরকার। তবে হাইকোর্টের সেই রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।
গত বছরের নভেম্বর মাসে বিহারের বিধানসভায় নতুন সংরক্ষণ আইন পাশ হয়। তাতে বলা হয়েছিল, তফসিলি জাতি এবং উপজাতি সহ সমস্ত অনগ্রসর জাতির জন্য সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করা হবে। উচ্চ শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে যাতে সুবিধা হয় তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের জুন মাসে পাটনা হাইকোর্ট বিহার সরকারের এই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয়। অর্থাৎ এই আইন বাতিল করে।
পাটনা হাইকোর্টের বক্তব্য ছিল, বিহার সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সংবিধান এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরোধী। এক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের বেঁধে দেওয়া ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের নির্দেশের কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়। স্পষ্ট বলা হয়েছিল, কোনও রাজ্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের উর্ধ্বসীমা লঙ্ঘন করতে পারে না। যদিও হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। তাতেও বিশেষ লাভ হল না।
কিছুদিন আগে বিহারের জন্য বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা চেয়েছিলেন নীতীশ কুমার। কিন্তু তাঁর সেই আর্জি পত্রপাট খারিজ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। স্পষ্ট জানানো হয়, বেশ কিছু শর্তে অতীতে একাধিক রাজ্যকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিহার সেই সব শর্তের আওতায় পড়েনি। তাই এই আর্জি মানা সম্ভব নয়। তবে বাজেটে কার্যত বিহারকে ভরিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
বিহারে চারটি এক্সপ্রেসওয়ে এবং সেতু গঠনে ২৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব আনা হয়েছে বাজেটে। এছাড়াও বিহারের পর্যটন ও বন্যা প্রতিরোধে একগুচ্ছ ঘোষণা করা হয়েছে।