ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
শেষ আপডেট: 22 May 2024 08:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো নির্বাচনী প্রচারের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন না ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বুধবার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা সোরেনের ইডি গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আনা আবেদন নাকচ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং সতীশচন্দ্র শর্মাকে নিয়ে গঠিত অবসরকালীন বেঞ্চ এদিন ইন্ডিয়া জোট শরিক নেতা সোরেনকে প্রবল ভর্ৎসনাও করে। হেমন্ত সোরেন সুপ্রিম কোর্টের কাছে তথ্য গোপন করেছেন বলে বেঞ্চ জানিয়েছে। বিচারাধীন আদালতে হেমন্ত একটি জামিনের আবেদন করেছিলেন। সে তথ্য শীর্ষ আদালতের কাছে চেপে যাওয়া হয়েছিল। যে আচরণকে কলঙ্কমুক্ত নয় বলে আদালতের মত।
ঝাড়খণ্ডে জমি কেলেঙ্কারিতে সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করে সোরেনকে। সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সোরেনের কৌঁসুলি কপিল সিবালকে আবেদন খারিজ করে দেওয়া হবে বলে আদালত সতর্ক করে দেওয়ার পরই তিনি আর্জি প্রত্যাহার করে নেন।
বুধবার আদালতের রায়ে স্পষ্ট যে, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সর্বাধিনায়ক ভোটের আগে আর প্রচারে বেরনোর সুযোগ পাবেন না। কপিল সিবালকে বেঞ্চ বলে, আপনাদের আচরণ স্পষ্ট নয়। আপনার মক্কেল অনেক কিছু চেপে গিয়েছেন। গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট সোরেনকে বলেছিল, বিচারাধীন আদালত যখন অর্থ তছরুপের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছে, তখন কী করে তিনি আশা করেন ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর।
হেমন্ত সোরেনের আবেদনকে একইসঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আবেদনের সঙ্গে পৃথক করে দেখে আদালত। উল্লেখ্য, ভোটের প্রচারের জন্য আম আদমি পার্টির নেতা কেজরিওয়ালকে জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চের মতে, কেজরিওয়ালকে যখন ১০ মে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল, তখন তিনি বিচারাধীন আদালতে জামিনের আবেদন করেননি। এমনকী নিম্ন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রাথমিক অপরাধ প্রমাণিত হয়নি।
অপরপক্ষে ঝাড়খণ্ডের বিচারাধীন আদালত সরকারি অর্থ তছরুপ আইনে সোরেনের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে। এবং সে কারণে তাঁর জামিনের আবেদন নাকচও হয়েছে।