শেষ আপডেট: 7th November 2024 14:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঋণের ভারে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দেশের একসময়ের অন্যতম বড় বিমান সংস্থা জেট এয়ারওয়েজ। তাই বৃহস্পতিবার রুগণ জেট এয়ারওয়েজের সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের এদিন জানিয়ে দেয়, এছাড়া আর রাস্তা নেই। ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালের তরফে এর আগে বিমান সংস্থাকে পুনরুজ্জীবনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ না করলেও, যাতে মালিকানা হস্তান্তর করা যায়, তার সপক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালের সেই সিদ্ধান্ত এদিন খারিজ করে দেয় আদালত।
সংবিধানে উল্লিখিত ১৪২ ধারা প্রয়োগ করে জেটের সম্পত্তি বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঝুলে থাকা ওই মামলায় 'সম্পূর্ণ ন্যায়' যাতে মেলে, তার জন্যই সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগ করেছে আদালত। পাঁচ বছর আগে যেখানে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে গিয়েছিল, এত দিনেও কেন তার প্রয়োগ হল না, আজ তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে আদালত। ঘটনাক্রমকে 'অদ্ভুত এবং উদ্বেগজনক' বলে উল্লেখ করা হয়। আদালত বলে, এর সম্পত্তি বিক্রি ছাড়া আর রাস্তা নেই।
রায় দিতে গিয়ে এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল, তা প্রয়োগ করা যেহেতু আর সম্ভব নয়, তাই সম্পত্তি বিক্রিতে বিনিয়োগকারীদেরও রাখতে হবে, শেষ অবলম্বন হিসেবে। বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক-সহ যারা সংস্থাকে ঋণ দিয়েছিল, তাদেরও এতে যুক্ত করতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট বলে, দেশের সবচেয়ে পুরনো বেসরকারি বিমানসংস্থাকে বাঁচানোর যে শেষ চেষ্টা করা হয়েছিল, সেটাও ব্যর্থ হয়েছে। সংস্থায় বিনিয়োগে আগ্রহ দেখানো সংস্থা জালান-কালরক গোষ্ঠী অধিগ্রহণের শর্তপূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সংস্থাটিকে ভেঙে দিয়ে সব সম্পত্তি নিলামের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকেই বন্ধ হয়ে যায় উড়ান।
সংস্থার কর্ণধার নরেশ গোয়েলের বিরুদ্ধেও একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পরে কানাড়া ব্যাঙ্কের ৫৩৮ কোটি টাকা প্রতারণার দায়ে সংস্থার নরেশকে গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট কোম্পানি ল’ ট্রাইবুনালকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালার পর্যবেক্ষণ, সব তথ্য খতিয়ে না দেখেই ট্রাইবুনাল এই অধিগ্রহণের অনুমতি দিয়েছিল। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, জেট এয়ারওয়েজের যাবতীয় সম্পত্তি বিক্রি করে বিনিয়োগকারী এবং কর্মীদের ঋণ মেটাতে হবে।