শেষ আপডেট: 7th January 2025 16:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেঙ্গালুরুর মৃত ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের পরিবার তাঁদের নাতির কাস্টডি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে সেই আর্জি কার্যত খারিজই করে দিল শীর্ষ আদালত। অতুলের মার উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, শিশুটির কাছে তিনি একেবারেই অচেনা একজন মানুষ।
অতুলের পরিবার দাবি করেছে, নাতির মধ্যে তাঁদের ছেলেরই ছায়া দেখতে পায় নিকিতা এবং তাঁর পরিবার। তাই নাতির প্রাণ সংশয় আছে। এই কারণ কাস্টডি তাঁদের দেওয়া হয়। একই সঙ্গে, বর্তমানে নাতি কোথায় রয়েছে সে ব্যাপারেও তথ্য চেয়েছিলেন তাঁরা। কারণ জানা যাচ্ছিল না যে অতুলের ছেলেকে আদৌ কোথায় রাখা হয়েছে।
শীর্ষ আদালতে এদিন অবশ্য অতুলের স্ত্রী নিকিতার আইনজীবী জানান, তাঁর ৪ বছরের ছেলে হরিয়ানার ফরিদাবাদের বোর্ডিং স্কুলে রয়েছে। তাঁর মাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে তাঁর ব্যাপারে কোনও তথ্য সামনে আনা হয়নি। হেনস্থার শিকার হতে পারে সে, এই ভয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। আর কাস্টডির ব্যাপারে তাঁর যুক্তি, অতুল সুভাষের পরিবারকে শিশুটিকে ভাল মতো চেনেই না। তাঁরা তাকে বেঙ্গালুরু নিয়ে গিয়ে রাখবেন। সেখানে সে তার মার সঙ্গে থাকবে। এর জন্য নিকিতাকেও বেঙ্গালুরুই থাকতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন অবশ্য এই শুনানিতে বলেছেন, 'ওই শিশুর জন্য আবেদনকারী একজন অচেনা মানুষ। আর বাচ্চার মা যেহেতু জীবিত রয়েছেন আর তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি, তাই এখনই শুধুমাত্র মিডিয়া ট্রায়ালের ভিত্তিতে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।' পাশাপাশি তাঁর নির্দেশ, পরের শুনানিতে ওই শিশুকে আদালতে হাজির করাতে হবে। নিয়মমাফিক শুনানির পরই তার কাস্টডির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী নিকিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। জামিন পেলেও অবশ্য খারিজ হয়নি অভিযোগ। কিন্তু নিকিতা তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হতে দিতে চান না। এই সংক্রান্ত ইস্যুতে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন খারিজ করেছে আদালত।
কর্নাটক হাইকোর্টের নিকিতার উদ্দেশে প্রশ্ন, ''আপনি ঘটনার তদন্ত হতে দিতে চান না কেন?'' এই প্রসঙ্গে, নিকিতার আইনজীবীর যুক্তি, তাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই। এমনকী অতুল সুভাষও এমন কোনও ইঙ্গিত দিয়ে যাননি যে তিনি নিকিতা বা তাঁর পরিবারের চাপে আত্মহত্যা করেছেন। একই সঙ্গে তাঁদের গ্রেফতারিও বেআইনি বলে দাবি করেছেন তাঁরা।