শেষ আপডেট: 12th December 2024 08:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে দেশকে। তিনি মৃত্যুর আগে অভিযোগ করে গেছেন যে, কীভাবে তাঁর স্ত্রী তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে বারবার টাকা দাবি করে গেছেন। এদিকে এই ঘটনার আবহেই সুপ্রিম কোর্টে অন্য একটি ডিভোর্স মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে খোরপোষ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ৮টি মাথায় বিষয় মাথায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
প্রবীণ কুমার জৈন এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জুর ডিভোর্স মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রবীণকে ৫ কোটি টাকা খোরপোষ দিতে নির্দেশ দিয়েছে। তবে এর পাশাপাশি দেশের সব উচ্চ আদালতকে খোরপোষের মূল্য নির্ধারণ করতে ৮টি বিষয় মাথায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি প্রসন্ন ভি ভারালের ডিভিশন বেঞ্চ।
কোন ৮টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা স্পষ্ট করেছে সুপ্রিম কোর্ট...
১। স্বামী এবং স্ত্রীর সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কী
২। স্ত্রী এবং সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য মূল কী জিনিস প্রয়োজন
৩। দুজনেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং চাকরির অবস্থা কেমন
৪। 'সোর্স অফ ইনকাম' এবং সম্পত্তির পরিমাণ
৫। শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর জীবনযাত্রার মান কেমন
৬। পরিবারের খেয়াল রাখতে স্ত্রী চাকরি ছেড়েছিলেন কিনা
৭। উপার্জন না করা স্ত্রীর আইনি মামলা লড়তে কত টাকা খরচ হচ্ছে
৮। স্বামীর আর্থিক অবস্থা কেমন হবে, স্ত্রীর ভরণপোষণ সহ অন্যান্য দায়িত্ব নেওয়ার পর
যে মামলার নিরিখে এই বিষয়গুলি উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট সেই প্রবীণ কুমার জৈন এবং অঞ্জু বিয়ের পর ৬ বছর একসঙ্গে ছিলেন। তারপর প্রায় ২০ বছর আলাদা রয়েছেন। প্রবীণের অভিযোগ, অঞ্জু তাঁর পরিবারকে আলাদা চোখে দেখত এবং খেয়াল রাখত না। অন্যদিকে অঞ্জুর দাবি, তাঁর প্রতি প্রবীণের ব্যবহার ভাল ছিল না। দীর্ঘদিন একসঙ্গে না থাকার কারণে তাঁদের মধ্যে যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল, সেটাই তাঁরা ভুলে গেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট মনে করেছে, ২০ বছর আলাদা থাকার ফলে স্বামী-স্ত্রীর এই সম্পর্কের ভিতটাই নেই। তাই তাঁদের ডিভোর্সে সায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।