নিট পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ।
শেষ আপডেট: 14 June 2024 14:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিট পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে সিবিআই তদন্ত দাবির আবেদনে শুক্রবার নোটিস জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। গত ৫ মে নিট-ইউজি ২০২৪ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস এবং দুর্নীতি নিয়ে অসংখ্য আর্জির সঙ্গেই সিবিআই তদন্তেরও দাবি জোরাল হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং সন্দীপ মেহতার গ্রীষ্মকালীন ছুটির বেঞ্চ একই ইস্যুতে আগের আবেদনগুলির সঙ্গে সিবিআই তদন্তের দাবিকেও জুড়ে দিয়েছে। সবকটি মামলার শুনানি হবে আগামী ৮ জুলাই, গ্রীষ্মের ছুটির পর। ইতিমধ্যে নিট পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে নোটিস জারি করে ২ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে আদালত। কেন্দ্রীয় সরকারকে পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে বেঞ্চ।
এদিন শুনানির সময় আবেদনকারীদের তরফে এক কৌঁসুলি রাজস্থানের কোটায় পড়ুয়াদের আত্মহত্যার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। এতে প্রবলভাবে আপত্তি জানায় বেঞ্চ। আদালত বলে, নিট-ইউজি ২০২৪ পরীক্ষার ফলের জন্য কোটায় আত্মহত্যা ঘটছে এমন নয়। বিচারপতি নাথ ওই আইনজীবীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অনাবশ্যক আবেগতাড়িত যুক্তি এখানে খাড়া করবেন না।
আবেদনকারীদের আইনজীবী বলেন, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানাচ্ছেন তাঁর মক্কেলরা। তার জবাবে বিচারপতি নাথ বলেন, এ ব্যাপারে এনটিএ-র বক্তব্য জানা জরুরি। তার আগে কোনও রায় দেওয়া উচিত নয়। অভিযুক্ত তরফের বক্তব্য না জেনেই কী করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যায়, আপনি কি সেটাই চাইছেন, প্রশ্ন আদালতের।
এর জবাবে আইনজীবী বলেন, এর সঙ্গে ২৪ লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ জড়িত। তখন বিচারপতি নাথ তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা সেটা বুঝি। আমরা সচেতন এ ব্যাপারে। তবে এর বেশি যা বলার তা ৮ জুলাই বলবেন। অন্য এক আইনজীবী সওয়ালে দাবি করেন, এনটিএ গতকাল তথ্য গোপন করেছে। এনটিএ বলেনি যে কতজন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে এবং কতজনকে অনুত্তীর্ণ থেকেছেন। অথচ, তারা বলে দিল ১৫৬৩ জনের ফের পরীক্ষায় বসার বিষয়ে রাজি। যেখানে ৭৯০ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং ৭৭৩ জনকে বাড়তি নম্বর দেওয়া সত্ত্বেও তাঁরা অনুত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিচারপতি মেহতা বলেন, এই আপত্তি তিনি যেন লিপিবদ্ধ করেন যাতে আদালতের নজরে থাকে। তবে এদিনও শীর্ষ আদালত কাউন্সেলিং বন্ধে কোনও নির্দেশ দেয়নি। সর্বোচ্চ আদালতে পরীক্ষার অনিয়ম সম্পর্কে সাতটি রিট পিটিশন দাখিল হয়েছে। যার একটিতে পরীক্ষা কেন্দ্র বাছাইয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। আবেদনের অভিযোগে বলা হয়েছে, এনটিএ লক্ষ লক্ষ টাকা খেয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র বাছাইয়ে সুযোগ পাইয়ে দিয়েছে।
দৃষ্টান্ত দিয়ে বলা হয়েছে, গুজরাতের গোধরা তালুকের জয় জালারাম স্কুলে ১৬ জনের কেন্দ্র পড়েছিল। যারা ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং কর্নাটকে পরীক্ষার্থী। কাছাকাছি পরীক্ষা কেন্দ্র না বাছাই করে কেন এতদূরে অঁজগায়ে বাছাই করা হয়েছিল? তারা নিট পরীক্ষায় পাশ করতে এক-একজন ১০ লক্ষ করে টাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ।