শেষ আপডেট: 15th April 2025 15:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শিশুপাচার সংক্রান্ত (Child Trafficking) এক মামলার শুনানিতে চরম ক্ষোভ উগরে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একই সঙ্গে, হাসপাতালগুলির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। আদালতের বক্তব্য, কোনও হাসপাতাল থেকে সদ্যোজাত চুরি হলে সবার আগে ওই হাসপাতালের ‘লাইসেন্স’ বাতিল করে দেওয়া উচিত। শুধু এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েই চুপ থাকেনি সর্বোচ্চ আদালত। একগুচ্ছ নির্দেশিকাও দিয়েছেন বিচারপতিরা।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ শিশুপাচার সংক্রান্ত সব মামলায় ছ’মাসের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে প্রতিটি নিম্ন আদালতকে। ইতিমধ্যে তাঁদের কাছে এই মর্মে নির্দেশিকাও পাঠানোর কথা বলা হয়েছে হাইকোর্টগুলিকে। নির্দেশ যাতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মানা হয় সে কারণ কড়া বার্তাও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। স্পষ্ট বলা হয়েছে, নির্দেশ বাস্তবায়নে কোনও ঢিলেমি হলে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে এবং তাকে আদালত অবমাননা হিসেবেও বিবেচিত করা হবে।
কোন মামলার ক্ষেত্রে এই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের?
উত্তরপ্রদেশের এক শিশুপাচার মামলায় অভিযুক্তদের অন্তর্বর্তী জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই শুনানিতেই উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টকে কার্যত ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত। বলা হয়, অবহেলার কারণে জামিন সংক্রান্ত শুনানিতে ঠিক মতো বিবেচনা হচ্ছে না এবং সেই কারণেই অনেক অভিযুক্ত হয় ছাড় পেয়ে যাচ্ছে না পালিয়ে যাচ্ছে। এটা সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর ব্যাপার।
যে মামলার শুনানিতে এমন মন্তব্য করা হয়েছে তার অভিযুক্তর বিরুদ্ধে এক সদ্যোজাতকে চুরি করে অন্য এক দম্পতির কাছে ৪ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার তার জামিনের বিরোধিতা কেন করেনি, সেটাও প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের জামিনের পক্ষে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আর মামলায় অভিযুক্ত সহ ওই দম্পতিকেও জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ তারা জানতেন শিশুকে চুরি করা হয়েছে।