শেষ আপডেট: 18th October 2024 13:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত, স্বঘোষিত গডম্যান এবং ডেরা সাচা সৌদা প্রধান, হরিয়ানার গুরমিত রাম রহিম সিং ফের ধাক্কা খেল সুপ্রিম কোর্টে। তার বিরুদ্ধে চলা বিচারের উপর পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের যে স্থগিতাদেশ ছিল, তা প্রত্যাহার করল শীর্ষ আদালত।
দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অপরাধে ২০ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাম রহিমকে। সে এখন হরিয়ানার রোহতকের সুনারিয়া জেলে বন্দি রয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলেও খুনের অভিযোগে বেকসুর খালাস পেয়ে যায় এই গডম্যান। ২০১৭ সাল থেকে সে এই জেলে রয়েছে।
কিন্তু এরই মধ্যে শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গ্রন্থসাহেবকে কলঙ্কিত করার সঙ্গে জড়িত আরও তিনটি মামলায় রাম রহিমের বিচারকাজ আটকে দেওয়া হয়েছিল। সেই স্থহিতাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সরিয়ে দিল আজ, শুক্রবার। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ রাম রহিমকে একটি নোটিস জারি করে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাবও চেয়েছে।
২০১৫ সালে পাঞ্জাবের ফরিদকোট জেলার বারগারি এলাকায় গ্রন্থ সাহেবের অন্তর্ধান এবং তা নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়। তিনটি মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
এই বছরের শুরুর দিকে, পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট রাম রহিমের বিরুদ্ধে সেই তিনটি মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে তদন্ত বা বিচারকে থামিয়ে দিয়েছিল। মার্চে জারি করা এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পাঞ্জাব সরকার সুপ্রিম কোর্টে যায়। সেখানেই আজ উঠল স্থগিতাদেশ।
প্রসঙ্গত, রাম রহিমের বিরুদ্ধে তিনটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ২০০২-এ সিরসার এক সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ওই একই বছরে ডেরা-র ম্যানেজার রঞ্জিত সিংহকে খুনের অভিযোগও ওঠে।
সেই বছরেই এক শিষ্যা রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে চিঠি লেখেন। অভিযোগ করেন, অন্য শিষ্যাদেরও হরিয়ানার সিরসায় ডেরা চত্বরে একাধিক বার ধর্ষণ করেছে রাম রহিম। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সিবিআইকে রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করতে নির্দেশ দেয়।
এর পরে ২০০৭ সালে শিখ ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।