শেষ আপডেট: 13th March 2025 12:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সারা দেশে তো বটেই পশ্চিমবঙ্গেও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার (Special Abled Children Education) জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এও দাবি করা হয়, শূন্যপদ ফাঁকা থাকলেও সেখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। তাই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে বড় নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। রাজ্যে প্রায় ২ লক্ষ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়াদের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ করতে বলা হয়েছে।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী ও আইনজীবী সুখেশ ঘোষ মামলার শুনানিতে অভিযোগের সুরে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগে গড়িমসি করছে। তাঁদের এও অভিযোগ, অনেকাংশে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও মানছে না সরকার। বিষয়টি খতিয়ে দেখে কঠোর পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়। কারণ তাঁদের যুক্তি, এইভাবে শিক্ষকদের নিয়োগ না করে বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিক পঠন-পাঠন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ প্রতিটি রাজ্যকে আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাতে বলেছে যে, মোট অনুমোদিত কতজন শিক্ষকের প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি যারা বর্তমানে সমগ্র শিক্ষা মিশনে কর্মরত অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন তাদের একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে তাদের স্থায়ীকরণ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ জুলাই।
এর আগে ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর এবং ২০২৪ সালের ১২ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ করতে হবে। প্রতি ১০ জন প্রাথমিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একজন শিক্ষক এবং মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে প্রতি ১৫ জনে একজন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে রাজ্য সরকারগুলিকে।
যদিও এই নির্দেশিকা পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পালন হচ্ছে না বলে মামলাকারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। এ বিষয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে তারা সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়েও জানিয়েছিল যে, ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৯৬ জন পড়ুয়া রয়েছে যারা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে এখনও পর্যন্ত পালন করা হয়নি।