শেষ আপডেট: 27th January 2025 16:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানিতে রাজ্যর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তুলেছেন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার এই দুর্নীতির স্পনসর! এমনভাবে দুর্নীতি করা হয়েছে যাতে অবৈধ কারা সেটা বোঝা না যায়।
এসএসসি-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার গত শুনানিতে শীর্ষ আদালত মূলত যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করার উপরে জোর দিয়েছিল। এদিনও সেই একই বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। সে প্রেক্ষিতে বিকাশ বলেন, পরীক্ষায় না বসেই অনেকে চাকরি পেয়েছেন। সন্দেহ থাকলে পুরো প্যানেল বাতিল করেই নতুন করে নিয়োগ করা উচিত। তাঁর অভিযোগ, এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। যদিও নতুন করে নিয়োগের বিষয়টিতে আপাতত একমত নয় সুপ্রিম কোর্ট।
বিকাশরঞ্জনের বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, নতুনভাবে নিয়োগ করতে গেলে অনেক জটিলতা তৈরি হবে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার স্বাভাবিকভাবেই কোনও নির্দেশ দেননি তিনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে চাকরি বাতিলের মামলাটি শুনেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই বেঞ্চ চাকরি বাতিলের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে নিযুক্ত হওয়ার পরে মামলাটি প্রথমবার তাঁর এজলাসে উঠেছে।
সোমবারের শুনানির আগে প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করা হবে, না কি যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের আলাদা করা হবে তা বিবেচনা করা হবে। সিবিআই সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাইপর্ব হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই তালিকা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছিল। তার ফলে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে রাজ্য। পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও চাকরিহারাদের একাংশও শীর্ষ আদালতে মামলা করে।