শেষ আপডেট: 28th January 2025 15:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুম্বইয়ের এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে ধর্ষণ করে খুনের অপরাধে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তকে বেকসুর খালাস করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আর জি করের ডাক্তার-পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে যখন অপরাধী সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবনের বদলের ফাঁসির দাবি জোরাল হয়ে উঠেছে, তখন আজ, মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালত এক ফাঁসির আসামিকে বেকসুর মুক্তি দেওয়ার রায় দিল।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি মুম্বইয়ের তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী ২৩ বছরের এস্টার অনুহিয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে চন্দ্রভান সনাপকে ২০১৫ সালে ফাঁসির সাজা শোনায় বিশেষ মহিলা আদালত। এস্টারের বাড়ি ছিল বিশাখাপত্তনমে। তিনি কাজ নিয়ে মুম্বইয়ে আসেন। লোকমান্য তিলক টার্মিনাসে এস্টারকে লিফট দিতে চায় চন্দ্রভান। পরে তাঁকে গাড়িতে তুলে কুঞ্জরমার্গ নামে এক জায়গায় ধর্ষণ করে খুন করে বলে অভিযোগ উঠেছিল।
চন্দ্রভান যুবতীর ল্যাপটপ সহ যাবতীয় জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়েছিল। এবং তাঁর দেহ যাতে শনাক্ত না করা যায়, তার জন্য জ্বালিয়ে দিয়েছিল। ১৭ জানুয়ারি যুবতীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয় ভান্ডুপ নামে এক জায়গা থেকে। রেল পুলিশ অপরাধীকে সিসিটিভি দেখে শনাক্ত করে। ২০১৪ সালের ৩ মার্চ সনাপকে গ্রেফতার করে ধর্ষণ-খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ।
নিম্ন আদালতে ফাঁসির রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চন্দ্রভান বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানায়। কিন্তু বোম্বে হাইকোর্টও আবেদন নাকচ করে দিয়ে ফাঁসির শাস্তি বহাল রাখে। উচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়, সমাজের পক্ষে সে অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং তার সংশোধনের কোনও সম্ভাবনা নেই। এতকিছু গুরুতর অপরাধ হাইকোর্ট পর্যন্ত প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও এদিন সুপ্রিম কোর্ট সনাপের পক্ষে রায় দিয়েছে। তথ্যপ্রমাণ ও ধর্ষণ-খুনের সপক্ষে জোরাল যুক্তির অসঙ্গতি ও অভাব রয়েছে বলে অভিযুক্তকে বেসকসুর খালাস করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই, প্রশান্তকুমার মিশ্র ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ চন্দ্রভান সুদাম সনাপকে বেকসুর খালাস দেওয়ার সময় বলে, পুরো ঘটনার মধ্যে বিচার ব্যবস্থায় এক বিরাট ফাঁক রয়েছে। চোখে দেখার বাইরেও অনেক কিছু রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে বেঞ্চের মত, সনাপকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা চূড়ান্তভাবে উচিত নয়। আমরা মনে করি আবেদনকারী অভিযুক্ত অপরাধে দোষী নয়। তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। তাকে আমরা বেকসুর খালাস দিচ্ছি।