শেষ আপডেট: 3rd December 2024 13:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শিখ সম্প্রদায়ের শীর্ষ ধর্মীয় কমিটি অকাল তখতের শাস্তির বিধান মেনে মঙ্গলবার অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির সাফ করলেন শিরোমণি অকালি দল নেতা, পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিং বাদল। হুইলচেয়ারে বসা সুখবীর বাদল এদিন এদিন শাস্তিবিধানের লেখা গলায় ঝুলিয়ে ঝাঁটা হাতে মন্দির সাফসুতরো করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী।
শিরোমণি অকালি দলের নেতাদের তাঁদের কৃতকার্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে একটি ছোট বোর্ড গলায় ঝুলিয়ে সেবাদারের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিল শ্রীঅকাল তখত। তখতের কেসগড় সাহিব, তখত দমদমা সাহিব, মুক্তসরের দরবার সাহিব এবং ফতেগড় সাহিবে দুদিন করে কাজ করার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল সোমবার। তাঁদের সকলকে সেবাদার হিসেবে দর্শনার্থীদের বাথরুম সাফাই, জুতো পরিষ্কার, লঙ্গরখানার কাজ ও এঁটো বাসন ধোয়ার কাজ দেওয়া হয়।
পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর বাদলকে গতকাল, সোমবার শাস্তি বিধান করে শিখ ধর্মের শীর্ষ কমিটি অকাল তখত। এই শাস্তিতে অকাল তখতের তরফ থেকে সোমবার এক নির্দেশে বলা হয়, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদলের পুত্র সুখবীরকে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির সহ বেশ কয়েকটি গুরুদ্বারের বাথরুম পরিষ্কার, রান্নাঘরের কাজ ও লঙ্গরখানার এঁটো বাসন ধুতে হবে।
সুখবীরের বাবা প্রকাশ সিং বাদলকে শিখ ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০১১ সালে ফকর-ই-কওম (শিখ সম্প্রদায়ের গর্ব) সম্মান দেওয়া হয়েছিল। সেই শিখদের গর্ব প্রকাশের ছেলে এবার অকাল তখতের সামনে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা পান। গুরুগ্রন্থ সাহিবকে অবমাননার দায়ে তাঁকে শাস্তি পেতে হচ্ছে। ২০১৫ সালে ডেরা সাচা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিমের সপক্ষে কথা বলেছিলেন সুখবীর। পরে অবশ্য তিনি কৃতকর্মের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
বর্তমানে অসুস্থতার কারণে হুইলচেয়ারে জীবন কাটানো সুখবীর এবং অকালি দলের কোর কমিটির সদস্যদের যাঁরা সেই সময় নেতার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত স্বর্ণমন্দিরের বাথরুম পরিষ্কার করার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তারপর স্নান করে লঙ্গরখানার কাজ এবং শেষে এঁটো বাসন মাজতে হবে বলে নির্দেশে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে অকাল তখত অকালি দলের প্রধানের পদ থেকে সুখবীরকে ইস্তফা দিতে বলেছে। এদিন সকালে তখতে জাঠেদার জ্ঞানী রাঘবীর সিং তনখা (শিখ ধর্মের শাস্তি) ঘোষণা করেন। এর আগে অগস্টে সুখবীর বাদলকে তনখাইয়া (দোষী) সাব্যস্ত করেছিল অকাল তখত। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যখন তাঁর দল ক্ষমতায় ছিল, তখন তিনি অপরাধ করেছিলেন। গুরুগ্রন্থ সাহিবের অপমান করা রাম রহিমকে ক্ষমা করা হয়েছিল সেই সময়।