দেশের প্রধান বিচারপতি পদে কর্মজীবনের শেষদিনে প্রাপ্ত প্রশংসাপত্র পড়ে অভিভূত সঞ্জীব খান্না।
সুপ্রিম কোর্টের বিদায়ী প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (বাঁদিকে) ও ভাবী প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই।
শেষ আপডেট: 13 May 2025 16:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেশের প্রধান বিচারপতি পদে কর্মজীবনের শেষদিনে প্রাপ্ত প্রশংসাপত্র পড়ে অভিভূত সঞ্জীব খান্না। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য নিয়ে দেশ যেদিন উচ্ছ্বসিত, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাঞ্জাবের আদমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে দেশাত্মবোধক, পাকিস্তান ও জঙ্গি বিরোধী উদ্দীপক ভাষণ দিচ্ছেন, সেদিনই অত্যন্ত সাদামাঠাভাবে অবসর নিলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি খান্না। তাঁরই মনোনীত বিচারপতি বিআর গাভাই পরবর্তী প্রধান বিচারপতি পদে বসতে চলেছেন।
কর্মজীবনের কথা স্মরণ করে মঙ্গলবার বিদায়ী প্রধান বিচারপতি খান্না বলেন, যিনি আসছেন তিনি সুপ্রিম কোর্ট, মৌলিক অধিকার ও সংবিধানের মূল্যবোধকে আরও উচ্চে তুলে ধরবেন। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি খান্না, ভাবী প্রধান বিচারপতি গাভাই ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমার। তাঁরা অতীত দিনের কথা, সুন্দর স্মৃতির কথা বলেন। বিশেষত আলোচনায় উঠে আসে প্রধান বিচারপতি খান্নার পরিবারের পূর্বজ প্রাক্তন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এইচ আর খান্নার কথাও।
ভাষণে ভাবীর প্রতি বন্ধুত্ব ও নির্ভরশীলতার কথা জানিয়ে বিদায়ী বলেন, মনোনীত প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই সম্পর্কে বলতে পারি, আমরা একই বছরে বিচারপতি হয়েছিলাম। এখানে আমরা একসঙ্গে কলেজিয়ামে ছিলাম। এরপরেও আমরা বহু বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমি অবশ্যই বলব, উনি আমার একটা বড় বলভরসা ছিলেন।
বিদায়কালে আরও বলেন, এখান থেকে আমি অনেক সুখস্মৃতি নিয়ে ফিরছি। এই স্মৃতি আমৃত্যু আমার চোখের সামনে ভাসবে। বার ও বেঞ্চের গুরত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, বিচার ব্যবস্থা শুধুমাত্র বিচারক-বিচারপতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন আইনজীবীরাও। আপনারাও এই ব্যবস্থার একজন সচেতন রক্ষক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভাবী প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই বলেন, বিচারপতি খান্না নিজেই নিজের পরম্পরা গড়ে তুলেছেন। উল্লেখ্য, আগামিকাল, বুধবার, ১৪ মে থেকে সর্বোচ্চ আদালতের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে চলেছেন বিআর গাভাই।