বোর্ড পরীক্ষায় ফেল করেও নিটে সফল - প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 2 August 2024 02:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিট ইস্যুতে অভিযোগের কোনও শেষ নেই। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তদন্ত করছে সিবিআই এবং তাঁরা প্রথম চার্জশিটও জমা দিয়েছে আদালতে। সেই চার্জশিটে ১৩ জনের নাম রয়েছে। এরই মধ্যে গুজরাতের এক পরীক্ষার্থীর 'কীর্তি' প্রকাশ্যে এল যা নিয়ে এখন আলোচনা। বোর্ড পরীক্ষায় দু'বার ফেল করার পরও সে নিটে পেয়েছে ৭০৫ নম্বর।
গুজরাতের আহমেদাবাদের এই পরীক্ষার্থী নিটে ৭২০-তে ৭০৫ নম্বর পেয়েছে। ফিজিক্সে তাঁর নম্বর ৯৯.৮৯, কেমিস্ট্রিতে ৯৯.৮৬ এবং বায়োলজিতে ৯৯.১৪! এই নম্বরে দেশের যে কোনও প্রথম সারির মেডিক্যাল কলেজে অ্যাডমিশন পেয়ে যাবে সে। কিন্তু পরে জানা গেছে, এই পরীক্ষার্থীই ১২ ক্লাসের বোর্ড পরীক্ষায় ফিজিক্সে দু'বার ফেল করেন! গত মার্চ মাসে মেইন পরীক্ষায় ফেল করার পর জুন-জুলাই মাসে যে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা হয়েছিল, তাতেও সে পাশ করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, বোর্ড পরীক্ষায় ৭০০-র মধ্যে ৪০০ নম্বরও পার করতে ব্যর্থ হয় সে। পেয়েছিল ৩৫২ নম্বর।
ওই পরীক্ষার্থীর যে রেজাল্টের তথ্য সামনে এসেছে তাতে দেখা গেছে, বোর্ডের পরীক্ষায় সে ফিজিক্স এবং কেমিস্ট্রি দুটি বিষয়েই ফেল করেছিল। একটিতে পেয়েছিল ২১ এবং অন্যটিতে পেয়েছিল ৩১ নম্বর। পরে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষায় কেমিস্ট্রিতে পাশ করলেও আবার ফিজিক্সে আটকে যায় সে। পেয়েছিল মাত্র ২২ নম্বর। জানা গেছে, ওই পরীক্ষার্থীর বাবা তাঁকে এমন একটি স্কুলে ভর্তি করেছিলেন যেখানে অ্যাটেন্ডেন্স নিয়ে চাপ ছিল না। কার্যত সে 'ডামি স্টুডেন্ট' হয়ে থাকত। স্কুলের পড়াশোনাকে গুরুত্ব না দিয়ে সে শুধু নিটের প্রস্তুতি নিত।
নিট নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এই খবর সামনে আসায় আরও যেন প্রশ্ন জেগেছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে। ওই পরীক্ষার্থীর স্কুলের তরফে বলা হয়েছে, শিক্ষা ব্যবস্থার ভুলের জন্যই আজ এই অবস্থা। পড়াশোনার ভিত না গড়েই পড়ুয়ারা বড় বড় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। তার ফলেই এমন ঘটনা।
ইতিমধ্যে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর নিট-ইউজির সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। ফল প্রকাশের সঙ্গেই এদিন নতুন করে মেধাতালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ৭২০ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছেন ১৭ জন। মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলার একজন পড়ুয়াও।