শেষ আপডেট: 8th November 2024 21:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিয়ে হয়েছে মেরেকেটে এক বছর। কিন্তু একেবারেই স্ত্রীয়ের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। প্রতি মুহূর্তে লেগে থাকত অশান্তি। কিন্তু কাজের সময় সেই অশান্তির চোটে ছোট্ট একটা ‘ওকে’ বলার কারণেই ঘটে গেল বিপত্তি। যার জেরে রেলের ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে খবর। অভিযোগ উঠতেই স্টেশন মাস্টারকে সাসপেন্ড করেছে ভারতীয় রেল।
ঠিক কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, বিশাখাপত্তনমের স্টেশন মাস্টার ছিলেন ভেঙ্কটগিরি রাও নামে ওই ব্যক্তি। কয়েকদিন আগেই রাতে ডিউটিতে ছিলেন তিনি। এমন সময় তাঁর স্ত্রী ফোন করতে কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় তুমুল ঝগড়া। ডিউটি চলাকালীন ঝামেলা বাড়াতে চাননি ওই স্টেশন মাস্টার। আচমকাই বলে বসেন ‘ওকে’। আর এই সামান্য শব্দের জন্য সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়।
স্টেশন মাস্টারের স্ত্রী যখন ফোনে ঝগড়া করেছিলেন তখনই একটি ট্রেন স্টেশনের দিকে আসছিল। ট্রেনের অভিমুখ জানার অপেক্ষায় স্টেশন মাস্টারের অপেক্ষা করছিলেন সিগন্যাল ম্যান। তিনি অন্য একটি ফোনে কথা বলছিলেন ভেঙ্কটগিরির সঙ্গেই। সিগন্যাল ম্যানও ফোনে 'ওকে' শুনতে পেয়েই ট্রেনটিকে পাঠিয়ে দেন নকশাল প্রভাবিত এলাকায়।
নিয়ম অনুযায়ী রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ওই এলাকায় ট্রেন চালাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু সেদিন আর কোনওভাবেই বিষয়টাকে আটকানো যায়নি। ট্রেন ওই এলাকায় ঢুকে পড়ায় ফের নির্দিষ্ট জায়গায় ফিরিয়ে আনতে রেলের খরচ হয়ে যায় প্রায় ৩ কোটি টাকা! এরপরই তাঁকে সাসপেন্ড করে রেল।
এরপরই রাগে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করতে চেয়ে বিশাখাপত্তনমের পারিবারিক আদালতে আবেদন করেন চাকরি হারানো স্টেশন মাস্টার। তাঁর স্ত্রীও কম যান না। একেবারে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে দাবি করেন, এই মামলার শুনানি বিশাখাপত্তনমে না হয়ে তাঁর বাপেরবাড়ি ছত্তিশগড়ের দূর্গের পারিবারিক আদালতে হোক। সর্বোচ্চ আদালত সেই দাবি মেনেও নেয়।
এরপর ছত্তিশগড়ের আদালতে ভেঙ্কটগিরির বিরুদ্ধে পণ চাওয়ার অভিযোগ আনেন স্ত্রী। ওঠে নারী নির্যাতনের অভিযোগ-সহ একাধিক অভিযোগ। তবে আদালতে তাতে সাড়া দেয়নি। এরপর পাল্টা বিলাসপুর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ভেঙ্কটগিরি। আদালত জানায়, স্ত্রী যে আচরণ করেছেন তা মানসিক অত্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। আদালত জানতে পারে মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে যা অভিযোগ এনেছেন সবটাই মিথ্যে। যদিও শেষমেশ আদালতের নির্দেশে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়েছে বলে খবর।