শেষ আপডেট: 14th December 2024 07:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গ্রেফতারির কয়েকঘণ্টার মধ্যে উচ্চ আদালত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালত থেকে জামিনের কাগজপত্র জেলে না এসে পৌঁছনোয় শুক্রবার জেলেই রাত কাটাতে হল দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুনকে।
শনিবার ভোরে তাঁর জেলমুক্তি ঘটেছে। এদিকে জামিন পাওয়ার পরও প্রিয় অভিনেতা মুক্তি না পাওয়ায় শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত হায়দরাবাদ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বাইরে তাঁর অনুরাগীরা প্রবল বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে বাড়ানো হয় পুলিশি প্রহরাও।
অভিনেতার আইনজীবী অশোক রেড্ডি অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের কাগজপত্র দেখানো সত্ত্বেও জেল সুপার মুক্তি দিতে।গড়িমসি করেন। বিষয়টি তাঁরা আদালতকে জানাবেন। অন্যদিকে জেল সূত্রের দাবি, কাগজপত্র অনেক দেরিতে এসে পৌঁছয়। জেলের বাইরে তখন অভিনেতার প্রচুর অনুগামী অপেক্ষা করছিলেন। সেক্ষেত্রে রাতে জেলমুক্তির পর ফের পদপিষ্টের ঘটনা ঘটতে পারত। তাই সব দিক বিবেচনা করেই এদিন ভোরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত, হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ৪ ডিসেম্বর স্ক্রিনিং ছিল 'পুষ্পা ২'-এর। সেখানে ছবির সঙ্গীত পরিচালকের সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন আল্লু অর্জুন। প্রিয় অভিনেতাকে এক ঝলক দেখতে ওই হলে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় হয়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মহিলার।
সন্ধ্যা থিয়েটার কর্তৃপক্ষ আল্লু অর্জুন ও তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা টিমের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৫, ১১৮(১) ধারায় মামলা রুজু করে। মৃত মহিলার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই চিক্কাদপল্লী থানায় ওই মামলা রুজু হয়। নিম্ন আদালত অভিনেতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশও দেন।
রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। বিচারক জুভাদি শ্রীদেবীর বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। শুক্রবার তিনি রায় দানের সময় জানান, শুধুমাত্র একজন অভিনেতা বলে তাঁর সঙ্গে এমন করা যায়? এটা ভাবাচ্ছে। উনি একজন অভিনেতা, বাকি সকলের মতোই ওঁর স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার রয়েছে।
পরে অবশ্য আইনজীবীর তৎপরতায় স্বস্তি পান অভিনেতা। মেলে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন। ফলে তাঁর মুক্তির অপেক্ষায় প্রহর গুণতে শুরু করে অনুগামীরা। পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এসে পৌঁছনোর পর এদিন ভোরে জেল মুক্তি ঘটে তাঁর।