ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 4th February 2025 10:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রে বিজেপি জোট সরকারে কি ফাটল বাড়ছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডের মতিগতি নিয়ে দিন দিন সংশয়, সন্দেহ বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির শীর্ষ নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের মন্ত্রিসভার পর পর তিনটি বৈঠকে যোগ দেননি উপমুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে। অথচ বৈঠকের সময় তিনি কখনও সচিবালয়ে উপস্থিত, কখনও বাড়িতে ছিলেন।
শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর নেতা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত ক’দিন ধরেই বলেছিলেন, জোট সরকারে ফাটল চওড়া হচ্ছে। এখন মুখ্যমন্ত্রীর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা জোরদার রয়েছে। যদিও সরকার থেকে বেরিয়ে গিয়ে নতুন কিছু করার জায়গায় নেই এই শিবসেনা নেতা, মনে করছে রাজনৈতিক মহলের বড় অংশ।
রাজ্যের গৃহ সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবিশ। আবাসন দফতর শিন্ডের হাতে। বৈঠকে উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী অজিত পাওয়ার হাজির থাকলেও ছিলেন না শিন্ডে। তিনি দফতরের প্রতিমন্ত্রীকে পাঠিয়ে দেন। পূর্ণ মন্ত্রী থাকতে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে উপমুখ্যমন্ত্রীর না গিয়ে প্রতিমন্ত্রীকে পাঠানো প্রশাসনির শিষ্টাচার বিরোধী। শিন্ডে গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও ছিলেন না। গত মাসেও মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির ছিলেন তিনি। অন্যদিকে, সব বৈঠকেই হাজির থাকছেন এনসিপি নেতা তথা আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী পাওয়ার।
ডিসেম্বরে মহারাষ্ট্রে বিজেপি-এনসিপি-শিবসেনার জোট সরকারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর সময় থেকেই শিন্ডেকে নিয়ে অস্বস্তি ছিল। তাঁকে এবার আর মুখ্যমন্ত্রী করেনি বিজেপি। শিন্ডে চেয়েছিলেন তাঁকে অন্তত বছর দুই মুখ্যমন্ত্রী রাখা হোক। এই সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি বারে বারে দাবি করেন, তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময়ে হওয়া ভাল কাজের প্রতি মানুষ আস্থা রেখেছে বলেই জোটের সব শরিকের ফল ভাল হয়েছে।
কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব শিন্ডের দাবি মানেননি। এ নিয়ে বিবাদে সরকার গঠন প্রায় দিন কুড়ি পিছিয়ে গিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, সেই ঘটনার রেশ ধরেই শিন্ডে সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন। তবে প্রশ্ন হল, সরকার থেকে বেরিয়ে গিয়ে কী করতে পারেন? বিরোধী জোটের (উদ্ধব গোষ্ঠী-শরদ পাওয়ারে এনসিপি-কংগ্রেস) অবস্থাও ভাল নয়। সেই জোটে ভাঙণ সময়ের অপেক্ষা। ইতিমধ্যে শরদ পাওয়ার এবং উদ্ধব আপাতত ‘একলা চলো’ নীতি নিয়েছেন।