শেষ আপডেট: 20th November 2024 17:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার উত্তরপ্রদেশের কাঠেহারি, কারহাল, মিরাপুর, গাজিয়াবাদ, মাঝাওয়ান, সিসামাউ, খাইর, ফুলপুর এবং কুন্দারকিতে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। এই নির্বাচনেই ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব দাবি করেছেন, ভোটারদের গুলি করে খুনের হুমকি দিয়েছে পুলিশ। যে অফিসারের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তাঁকে বরখাস্তের দাবি তুলেছেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশের মিরাপুরের কাকারৌলি থানার স্টেশন হাউস অফিসারের একটি ভিডিও দেখিয়েছেন অখিলেশ যাদব। তাতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন সাধারণ নাগরিকের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে আছেন অফিসার! অখিলেশের দাবি, তিনি ভোটারদের ভয় দেখিয়েছেন এবং তাঁদের বুথে যেতে বাধা দিয়েছেন। পুলিশ হয়ে কীভাবে এই কাজ তিনি করতে পারেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান। নির্বাচন কমিশনে ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তাঁকে সাসপেন্ড করার দাবি জানিয়েছেন।
যে ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, দুজন মহিলা পুলিশের সঙ্গে কার্যত তর্ক করছেন। কেন তাঁদের এগোতে দেওয়া হচ্ছে না, ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে তা তাঁরা জানতে চাইছেন না। কিন্তু পুলিশ কোনও কথা না শুনে তাঁদের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে তাঁদের ঘরে ফিরে যেতে বলছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দ্য ওয়াল।
मीरापुर के ककरौली थाना क्षेत्र के SHO को चुनाव आयोग तुरंत निलंबित किया जाए, क्योंकि वो रिवॉल्वर से धमकाकर वोटर्स को वोट डालने से रोक रहे हैं। @ECISVEEP @SECUttarPradesh@rajivkumarec@spokespersonECI@ceoup#ECI#YouAreTheOne#IVoteForSure#UPPolitics#SamajwadiParty pic.twitter.com/WfiygzqO0t
— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) November 20, 2024
সমাজবাদী পার্টির তরফে একদিকে যখন পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে ঠিক সেই সময়েই তাঁদের বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ উঠেছে। ২৩ বছরের এক দলিত তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি সমর্থক হওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়েছে। আর সমাজবাদী পার্টি নেতারা এই খুনের পিছনে জড়িত। তরুণীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে প্রশান্ত যাদব এবং মোহন কাঠারিয়া নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
বিজেপির দাবি, সন্ত্রাসের রাজনীতি করছে সমাজবাদী পার্টি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হচ্ছে তা তাঁরা সহ্য করতে পারছে না। তাই এইভাবে ভয় দেখিয়ে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করছে। যারা ভয় পেয়ে যাচ্ছেন তাঁরা বেঁচে যাচ্ছেন। যারা প্রতিবাদ করছেন তাঁদের খুন করা হচ্ছে। এই ঘটনায় কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে পদ্ম শিবিরের তরফে।