৩ মে মৃত্যু হয় ভুরি দেবীর। মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামে ফিরে আসেন ওমপ্রকাশ। অন্যান্য ভাইদের সঙ্গে সমস্ত নিয়ম পালন করেন, মায়ের দেহ কাঁধে করেও নিয়ে যান।
ভিরাল ভিডিও
শেষ আপডেট: 18 May 2025 18:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মায়ের মৃত্যুর পর গয়নার ভাগ চাই। দু'ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে রইল মৃতদেহ। এমনকি গয়না নেওয়ার বায়নায় মৃত মায়ের চিতায় শুয়ে পড়লেন ছেলে। রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুরের এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানা গিয়েছে, রাজস্থানের কোটপুতলি-বেহরোর জেলার বাসিন্দা ছিলেন ভুরি দেবী। তাঁর সাত পুত্র। তাঁদের মধ্যে ছয়জন গ্রামে মায়ের সঙ্গেই থাকতেন। একজন, ওমপ্রকাশ গত কয়েকবছর ধরেই বাইরে ছিলেন। পরিবারের কারও সঙ্গেই তেমন যোগাযোগ করতেন না।
May God not give such children to anyone.
Even the mother's bier is mocked at during the cremation. Such a situation is only due to wealth.why pic.twitter.com/KoshWZoxDZ— Mr.K§ (@KS_1407) May 15, 2025
৩ মে মৃত্যু হয় ভুরি দেবীর। মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে গ্রামে ফিরে আসেন ওমপ্রকাশ। অন্যান্য ভাইদের সঙ্গে সমস্ত নিয়ম পালন করেন, মায়ের দেহ কাঁধে করেও নিয়ে যান। শেষকৃত্যের জন্য মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই গণ্ডগোল বাধে। অন্ত্যেষ্টির আগে ভুরি দেবীর হাতের রুপোর গয়না খুলে বড় ছেলে গিরিধারীর কাছে দেওয়া হয়। কারণ, শেষ বয়সে মায়ের দেখাশোনা করেছিলেন তিনি। এতেই আপত্তি করেন ওমপ্রকাশ। শ্মশানে যখন উপস্থিত সকলে যখন শেষকৃত্যের প্রস্তুতি করছেন সেইসময়েই ওমপ্রকাশ দাবি করেন, মায়ের রুপোর গয়না তাঁকেই দিতে হবে, নাহলে দেহ দাহ করতে দেবেন না। এই নিয়ে তুমুল তর্কাতর্কি শুরু হয় (Son halts mother's cremation)।
এসবের মাঝেই নিজের দাবি পূরণ করতে চিতার উপর শুয়ে পড়েন ওমপ্রকাশ। জানিয়ে দেন, মায়ের চুড়ি না পেলে নড়বেন না। এমনকী নিজেকেও চিতায় পুড়িয়ে ফেলবেন তিনি। আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীরা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। অবশেষে কোনও পথ না দেখে ছয় ছেলে রুপোর গয়না ওমপ্রকাশকে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যুবককে চিতা থেকে নামিয়ে আনা হয়। এই ঝামেলার কারণে প্রায় দু'ঘণ্টা আটকে ছিল ভুরি দেবীর শেষকৃত্য। সমস্যার সমাধান হলে সাত ছেলে মিলে মায়ের দাহকাজ সম্পন্ন করেন।
এই ভাইরাল ভিডিও (Viral Video) নিয়ে ওমপ্রকাশের আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন নেটিজেনরা। একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'ঈশ্বর এমন সন্তান যেন কাউকে না দেয়। কেবল গয়নার জন্য শেষকৃত্যের সময় মায়ের মৃতদেহের সামনে এই ধরনের উপহাস কেন?' অনেকেই আবার ওমপ্রকাশকে পরিবার থেকে বিতারিত করার পরামর্শ দিয়েছেন ওই ছয় ভাইকে।