শেষ আপডেট: 26th October 2024 15:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বর্তমান যুগে স্ট্রিট ফুডের চাহিদা লাফিয়ে বাড়ছে। কম দামে উন্নত খাবার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে একের পর এক স্টল। স্ট্রিট ফুডের তালিকায় মোমোর জায়গা যে কিছুটা হলেও উপরের দিকে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার একটি মোমো স্টলে দৈনিক কত টাকা আয় হয় তার হিসাব নিতেই পৌঁছে গেলেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর সার্থক সচদেবা।
সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যেখানে দেখা যাচ্ছে দিল্লির রাস্তার ধারে একটি দোকানে মোমো বিক্রি করছেন সার্থক। নিজেকে অন্যভাবে সাজিয়ে মানুষের হাতে খাবার তুলে দিচ্ছেন তিনি। রাস্তার ধারে খাবার বিক্রি করছেন, সে কারণে পোশাকেও ছিল নতুনত্বের ছোঁয়া। মাথায় বাবুর্চির টুপি, শরীরে অ্যাপ্রন ঝুলিয়ে মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
কীভাবে এই লোভনীয় খাবার বানানো হয়, এক প্লেট মোমো বিক্রি করলে ঠিক কত টাকা খরচ হয়, কত টাকা দোকান মালিকের পকেটে থাকে সবকিছুই বুঝিয়েছেন সার্থক। সচদেবা জানিয়েছেন, স্টিম মোমো ৬০ এবং তন্দুরি মোমোর একটি প্লেট ৮০ টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি।
দোকান শুরুর দেড় ঘণ্টার মধ্যেই ৫৫ প্লেট মোমো বিক্রি করে ফেলেছিলেন তিনি। দিনের শেষে দেখা যায় ৬০ প্লেট স্টিম এবং ৭০ প্লেট তন্দুরি মানে ১২০ প্লেটেরও বেশি মোমো বিক্রি করেছেন। সার্থক জানিয়েছেন, দিনশেষে মোমো বিক্রি করে আয় হয় ১৩ হাজার ৫০০ টাকা।
দিনশেষে আয়-ব্যয়ের হিসাব করে দোকান মালিকের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, সবকিছু খরচ বাদ দিয়ে তাঁদের হাতে থাকবে ৭,৫০০ থেকে আট হাজার টাকার মতো। ফলে মোমো বিক্রি করে মাসিক আয় ২.৪ লাখ টাকা এবং বছরে তা ৩০ লাখের মতো।
View this post on Instagram
বলে রাখা ভাল, সার্থক বড়বড় রেস্তরাঁয় ঢুঁ মারার পাশাপাশি রাস্তার পাশের বিভিন্ন দোকানে ঘুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও আপলোড করেন। এর আগেও চা, সিঙ্গারা বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মূলত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজের আয়ের পাশাপাশি রাস্তার পাশে থাকা ছোট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দিনভর কাজ করে তাঁদের সাহায্য করেন। পাশাপাশি ভিডিও শেষে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার এমবিএ পাশ করা বন্ধুদের কেমন অবস্থা? দেখুন আমি প্রতিদিন কত টাকা আয় করছি!’
মোমো বিক্রির ভিডিও ভাইরাল হতেই একের পর এক মন্তব্য করতে থাকেন নেটিজেনরা। কেউ লেখেন, এটাও সত্যি! আবার কেউ কেউ মন্তব্য করেন ইঞ্জিনিয়ারিং বা ম্যানেজমেন্ট পড়েও এত টাকা প্রথমেই রোজগার করা কল্পনার বাইরে।
একজন জানিয়েছেন, আমি কলেজ ছেড়ে দিয়েছি। লেখাপড়া করে কোনও লাভ নেই। কেউ আবার সার্থকের সঙ্গে কাজে যোগ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
সার্থকের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই এখন নেটিজেনদের মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, লেখাপড়া তো অনেক হল। এবার স্ট্রিটফুডের দোকান খুলে ব্যবসা করতে পারলেই কেল্লাফতে।