শেষ আপডেট: 6th November 2024 16:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক কারও অজানা নয়। সামাজিক মাধ্যমে বিজেপি ট্রাম্প ও মোদীর নানা মুহূর্তের ছবি শেয়ার করতে শুরু করেছে। আগের দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্পের ভারত সফরের ছবি শেয়ার করছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। পদ্ম শিবিরের প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট, ট্রাম্পের বিজয়কে তাদের জন্য স্বস্তিদায়ক মনে করছে পদ্ম শিবির।
ভারতেই আছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বা তাঁর দল এখনও ট্রাম্পের জয়ে প্রতিক্রিয়া না দিলেও আওয়ামী লিগও যে বিজেপির মতো ট্রাম্পের জয়ে খুশি তা স্পষ্ট হয়েছে সমাজ মাধ্যমের প্রতিক্রিয়ায়। আওয়ামী লিগ সমাজ মাধ্যমে ট্রাম্প ও হাসিনার হাসিমুখের ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ নিয়ে তুমুল চর্চা হয় ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে। হাসিনা দেশছাড়ার পর বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় সরব হন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী। অতীতে কখনও বাংলাদেশ মার্কিন নির্বাচনে আলোচনার বিষয় হয়নি। ট্রাম্পের বক্তব্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তির কারণ হয়।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ট্রাম্প ফের প্রেসিডেন্ট হলে ভারত ও বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। বাইডেন প্রশাসন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুতে বারে বারে মোদী হাসিনা সরকারকে অস্বস্তিতে পড়েছে। অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভোটে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস জিতলেও সে দেশের ভারত, বাংলাদেশ নীতিতে পরিবর্তন আসত।
কূটনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্প জেতায় বাংলাদেশকে নিয়ে মার্কিন বিদেশ নীতি অনেকটাই ভারত প্রভাবিত করবে। তাতে বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন এবং আওয়ামী লিগ ও শেখ হাসিনার পুনর্বাসন ত্বরান্বিত হবে। ধরে নেওয়া হচ্ছে পয়লা সুযোগেই মোদী তথা ট্রাম্প প্রশাসনকে এই ব্যাপারে সক্রিয় হতে আর্জি জানাবে ভারত।
হাসিনাকে নিরাপদে দেশে ফেরাতে মোদীর আর্জি ট্রাম্প সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, কমলা জিতলে নিশ্চিন্তে থাকতে পারতেন ডেমোক্র্যাট শিবির বিশেষ করে বিল ক্লিনটন, বারাক ওবামাদের কাছের লোক মহম্মদ ইউনুস। ট্রাম্প জেতায় তিনি যে বিপাকে পড়লেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। যদিও ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বক্তব্য ট্রাম্প এবং রিপাবলিকান শিবিরেও ইউনুসের যথেষ্ট পরিচিতি ও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।