টেক-অফের কয়েক মিনিট পরেই আমদাবাদে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান। বিজে মেডিক্যাল কলেজের বিমানবন্দর লাগোয়া হস্টেলে ক্র্যাশ ল্যান্ডিং করে সেটি।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 13 June 2025 16:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চরম ট্র্যাজেডি। লন্ডনগামী যে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত (Air India Plane Crash) হয়েছে তা আদতে ভেঙে পড়েছিল একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপর। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় একজন বাদে বিমানযাত্রীদের সকলেই মৃত। এদিকে, প্রাণ হারিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের (Medical College) ১০ জনও। যাঁদের মধ্যে চারজন ডাক্তারি পড়ুয়া (Junior Doctors)।
শুক্রবার ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (এফএআইএমএ) জানিয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ে হস্টেলের ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চারজন ডাক্তারি পড়ুয়া এবং ছ’জন পড়ুয়াদের আত্মীয়। পাশাপাশি এও জানান হয়েছে, এখনও হোস্টেলের ২৪ জন বাসিন্দা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
টেক-অফের কয়েক মিনিট পরেই আমদাবাদে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান (Ahmedabad Plane Crash)। বিজে মেডিক্যাল কলেজের বিমানবন্দর লাগোয়া হস্টেলে ক্র্যাশ ল্যান্ডিং করে সেটি। সেই সময় মধ্যাহ্নভোজ সারছিলেন চিকিৎসক-পড়ুয়ারা। ঘটনার আকস্মিকতায় স্বাভাবিকভাবেই কেউ জায়গা থেকে নড়ার সুযোগ পাননি। এখন জানা গেল ১০ জনের মৃত্যুর খবর। তবে মৃতের সংখ্যা যে বাড়তে পারে সে আশঙ্কাও রয়েছে।
কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা এখনও পরিষ্কার নয়। কেউ মনে করছেন যান্ত্রিক ত্রুটি, কেউ মনে করছেন 'হিউম্যান এরর'। আবার কারও ধারণা, পাখির ধাক্কায় এমন হয়েছে। তবে এই প্রশ্নের উত্তর যেটি দিতে পারে সেই 'ব্ল্যাক বক্স' ডাক্তারদের হস্টেলের ছাদ থেকেই উদ্ধার হয়েছে। দুর্ঘটনার পরই তদন্ত শুরু করেছিল ডিজিসিএ (DGCA)এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের মধ্যে রয়েছে গুজরাট সরকারের 'এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো'-এর (AAIB)৪০ জন সদস্য। তাঁরাই ওই হস্টেলের ছাদ থেকে এটি খুঁজে পেয়েছে।
বহুদিন আগে থেকেই এই মডেলের বিমানগুলির সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকী, বোয়িংয়ে কর্মরত বেশ কয়েকজন কর্মী বিমানের সুরক্ষা আপস করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। তারপর আমদাবাদের এই ঘটনা তো বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতেই মনে করা হয়েছিল যে, কেন্দ্র হয়তো বোয়িং ড্রিমলাইনের উড়ান আপাতত স্থগিত করে দেবে। কিন্তু চটজলদি এমন সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নয় ডিজিসিএ। বরং তাঁদের লক্ষ্য, সুরক্ষায় আরও বেশি করে জোর দেওয়া (Safety Check)।