শেষ আপডেট: 16th July 2024 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা ভাইরাস আতঙ্ক কাটিয়ে মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই সতর্ক করেছিল যে, করোনাই শেষ নয়। এরপর আরও একাধিক ভাইরাস মহামারী ছড়াতে পারে। সেই ভাইরাসের তালিকায় ঢুকে পড়েছে 'চাঁদিপুরা' (সিএইচপিভি)। ইতিমধ্যে ৬ শিশুর প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস।
সাম্প্রতিক সময়ে গুজরাতে এই ভাইরাসের আধিপত্য দেখা যাচ্ছে। সে রাজ্যেই ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাও আবার মাত্র পাঁচদিনের মধ্যে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়েছে। ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত যাতে না হয় তার জন্য জেলায় জেলায় সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথমে ৪ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছিল। এখন সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১২!
রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হলেও আপাতত ভয়ের কিছু নেই। তবে ভাইরাসের প্রকোপ যাতে না বেড়ে যায় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর এই বিষয়ে আমজনতাকেও সতর্ক করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে গোটা দেশের অল্প সংখ্যক জায়গাতেই এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। তাই শুরু থেকেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমেছে প্রশাসন।
কী এই 'চাঁদিপুরা' ভাইরাস?
এই রোগ মূলত মশা থেকে ছড়ায়। ৯ মাস থেকে ১৪ বছর বয়সীরা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয় এই ভাইরাসে। চিকিৎসক মহল বলছে, বর্ষাকালের সময়ই সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখা যায় এই ভাইরাসের।
'চাঁদিপুরা'র প্রধান উপসর্গ জ্বর এবং প্রবল মাথাব্যাথা। জ্বর বাড়তে থাকলে খিঁচুনি শুরু হয়, বমিভাব দেখা দেয়। পরবর্তী সময়ে ডায়রিয়া হতে পারে। গুজরাতের স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, শিশুরা আক্রান্ত হওয়ার ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেছে। তাই স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, রোগের উপসর্গ দেখা গেলেই যেন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয়।
ভারতে প্রথম এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছিল ১৯৬৫ সালে মহারাষ্ট্রের চাঁদিপুরা গ্রামে। সেই গ্রামের নামেই এই ভাইরাসের নাম দেওয়া হয়। দেশের বাইরেও এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গেছিল। নাইজেরিয়া, নেপাল, ভূটান এবং শ্রীলঙ্কা থেকে কয়েকজন আক্রান্তের খবর আসে অতীতে।