শেষ আপডেট: 1st October 2024 14:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেশের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী স্বীকার করে নিলেন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত-চিন সম্পর্ক স্থিতিকর কিন্তু স্বাভাবিক নয়। মঙ্গলবার জেনারেল দ্বিবেদী দ্বিধাহীনভাবে মেনে নেন যে, তথাকথিত সীমান্ত বলে পরিচিত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে ভারত ও চিনের আস্থা-বিশ্বাস সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল হলেও স্বাভাবিক কোনও মতেই নয়। এখনও সেখানে উত্তেজনাকর আবহাওয়া রয়েছে।
চাণক্য প্রতিরক্ষা আলোচনায় অংশ নিয়ে সেনাপ্রধান আরও বলেন, ভারত চায় এই অঞ্চলের সুস্থিতি ২০২০ সালের এপ্রিলের আগের মতো হয়ে উঠুক। উল্লেখ্য, গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই লাদাখ এলাকায় ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একেবারে তলিয়ে গিয়েছে। গত সপ্তাহে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বলেছিলেন, চিনের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক গাঁটছড়া খুবই অশান্ত হয়ে রয়ে গিয়েছে।
দ্বিবেদীর মতে, চিন সর্বক্ষণ আমাদের মনে একটি অশান্তি জিইয়ে রেখেছে। চিনের সঙ্গে ভারতের সর্বতোভাবে সহযোগিতা ও সহাবস্থান বজায় রেখে চললেও সর্বদা প্রতিযোগিতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, মোকাবিলার রাস্তা ধরে চলতে হচ্ছে। সে কারণে সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেও উত্তেজনা থাকায় তা এখনও স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি, বলেন দেশের সেনাপ্রধান।
জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, সীমান্তে দুদেশের বিশ্বাসভঙ্গ হয়ে গিয়েছে। সে কারণে জমি দখল হোক কিংবা বাফার জোনে টহলদারির প্রশ্ন হোক, যতক্ষণ না আগের পরিস্থিতি ফিরে আসছে, ততক্ষণ এই এলাকায় উত্তেজনা থাকবে। সর্বক্ষণ যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ কেউ কাউকে বিশ্বাস করার অবস্থায় নেই।
সাম্প্রতিক লেবাননের হিজবুল্লা-ইজরায়েল সংঘর্ষ নিয়ে সেনাপ্রধান দ্বিবেদী বলেন, বিস্ফোরক পেজার ব্যবহার ইজরায়েলের মাস্টার স্ট্রোক ছিল। বছরের পর বছর ধরে প্রচুর পরিশ্রম ও গবেষণা করে ইজরায়েল যা করেছে তা অতুলনীয়। কোনও যুদ্ধই শুরু হয় না, যেদিন থেকে লড়াই বাধে। যুদ্ধের শুরু পরিকল্পনা থেকে। ইজরায়েল যা করছে তার পরিকল্পনাটাই ভিন্ন। হামাস তাদের মূল লক্ষ্য নয়, তাই প্রথমে তারা হামাসকে নিশানা করে। এখন তারা হিজবুল্লাকে নিকেশ করতে উঠেপড়ে লেগেছে।